এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > লোকসভার আগে ক্রমশ ঘর গোছাচ্ছে কংগ্রেস – উত্তরপ্রদেশে দুই ও মহারাষ্ট্রে এক জোটসঙ্গী চূড়ান্ত

লোকসভার আগে ক্রমশ ঘর গোছাচ্ছে কংগ্রেস – উত্তরপ্রদেশে দুই ও মহারাষ্ট্রে এক জোটসঙ্গী চূড়ান্ত


লোকসভা ভোট ঘোষণা হতে আর হাতে গোনা কয়েকদিন মাত্র বাকি। এই মুহূর্তে সমস্ত রাজনৈতিক দলেই সাজো সাজো রব। সকলেই নিজেদের সাংগঠনিক শক্তিবৃদ্ধি করতে ব্যস্ত। বিভিন্ন দলের মধ্যে জোটের সমীকরণও তৈরি, পিছিয়ে নেই কংগ্রেসও। সপা-বসপার মতো রাহুল গান্ধীও নিজেদের ঘর গোছাতে ব্যস্ত। একসাথে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি দিয়েও শেষে কংগ্রেসকে ব্রাত্য রেখেই অখিলেশ-মায়াবতী এক ছাতার তলায় এসেছে। এতে সাময়িকভাবে কংগ্রেসের মনোবল ভেঙে পড়লেও, আবার উঠে দাঁড়িয়েছে শতাব্দী প্রাচীন এই রাজনৈতিক দল। তাছাড়া তিন রাজ্যের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের নজিরবিহীন ভালো ফলাফল এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রর লোকসভা ভোটের আগে সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে – এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

তাছাড়া প্রিয়াঙ্কা গান্ধী দলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নিযুক্ত হওয়ার পর লোকসভা ভোটে জীবন বাজি রেখে লড়াই করারও অঙ্গীকার নিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে উত্তরপ্রদেশে দুই এবং মহারাষ্ট্রে এক জোটসঙ্গী চূড়ান্ত করে ফেলল কংগ্রেস। উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির বিভক্ত প্রগতিশীল সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট বাঁধতে চলেছে কংগ্রেস। উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের বড় দায়িত্ব কাঁধে আসার পরই ছোট দলগুলোকে এক ছাতার তলায় আনার কাজ শুরু করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তাছাড়া উত্তরপ্রদেশের দলিত শ্রেণি শাইকিয়া, নিশাদ, রাজবাহার, মৌর্য, কুশাওয়াদের বিজেপি বিদ্বেষকে কাজে লাগিয়ে তাঁদের ভোটব্যাঙ্ক দখলে রাখাও লক্ষ্য রয়েছে কংগ্রেসের। আর সেজন্যেই প্রগতিশীল সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে আসনরফা চূড়ান্ত করতে চাইছে কংগ্রেস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দলীয় সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ঘনিষ্ট কংগ্রেস নেতা শিবপালের সঙ্গে কথা বলেছেন। জোটের কথা চূড়ান্ত হলেই সরকারিভাবে ঘোষণা করে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও শিবপালের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। সেসময়ই লোকসভা ভোটে লড়ার বার্তাও দিয়ে দেবেন তিনি। উল্লেখ্য, একসময় সপার দলের অন্দরেই মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। সেসময় অখিলেশ যাদবের কাকা তথা মুলায়েম সিং যাদবের ভাই শিবপাল যাদব সপা থেকে বেরিয়ে নতুন দল গড়েন। সেই দলেরই নাম দেন প্রগতিশীল সমাজবাদী পার্টি। এই দলের সঙ্গেই জোট বাধতে চলেছে কংগ্রেস। এদিকে, মহারাষ্ট্রেও এনসিপি এবং কংগ্রেস জোট প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। দুই দলই ২০ টি করে আসনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বুধবার রাতেই এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার এবং কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর মধ্যে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে বলেই খবর পাওয়া গিয়েছে। উত্তরপ্রদেশের থেকে মহারাষ্ট্রের আসন সংখ্যা বেশি। উত্তরপ্রদেশে লোকসভায় ৮০ টি আসন রয়েছে এবং মহারাষ্ট্রে রয়েছে ৪৮ টি আসন। এই ৪৮ টি আসনের মধ্যে ২০ টি করে আসনে লড়তে চাইছে কংগ্রেস এবং এনসিপি। আর ৮ টি করে আসন রিপাবলিকান পার্টি সহ আরো বেশ কিছু ছোট দলের জন্যে ছেড়ে রাখা হয়েছে। তবে পরবর্তীতে কংগ্রেস এবং এনসিপি আসন অদল বদল করতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে। অন্যদিকে, এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার আবার চাইছেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনাকে জোটে টানতে। তবে এ ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য,মহারাষ্ট্র কংগ্রেস এনসিপির মতোই জোট গড়ার কথা ভাবছে বিজেপি-শিবসেনা। লোকসভা ভোটে ৪৮ টি আসনের মধ্যে ২৫ টিতে বিজেপি এবং ২৩ টিতে শিবসেনা এবং বিধানসভায় ২৮৮ টি আসনে ১৪৫ টিতে বিজেপি এবং ১৪৩ টিতে শিবসেনা লড়াই করবে – এই ফর্মুলায় জোট হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!