প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  জাতীয় রাজনীতিতে এবার কংগ্রেস ও তৃণমূল একই সুরে, একই পথে আক্রমণ করলেন মোদী সরকারকে। তৃণমূলের এখন অন্যতম লক্ষ্য 2024 এর লোকসভা নির্বাচনে মোদি বিরোধী ঐক্যের জয় নিশ্চিত করে মোদী শাসনের অবসান করা। তবে এই লক্ষ্য নিশ্চিত করতে মোদী বিরোধী শক্তিকে সক্রিয় করার পাশাপাশি বিভিন্ন পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই গ্রহণ করেছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। তার মধ্যে অন্যতম হলো বিভিন্ন রাজ্যে সংগঠন বাড়ানোর ইঙ্গিত। এবং এই সংগঠন বাড়ানোর ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

কার্যত জাতীয় স্তরে তৃণমূলকে পরিচিতি করাতে রাজ্যের বাইরে দেশের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে টুইটারে একের পর এক প্রতিক্রিয়ায় জানাচ্ছেন বর্তমানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি অসম ও মিজোরামের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে, আর তাতে প্রাণহানিও ঘটেছে। এবার তাই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে তিনি নিহত জওয়ানদের প্রতি শোক জ্ঞাপন করে তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। মূলত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নিশানায় রেখে আক্রমণ করেছেন। অভিষেক ব্যানার্জির মতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের চোখের সামনে এধরনের হিংসার ঘটনা ঘটলেও সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

অন্যদিকে প্রায় একই কথা টুইটে এবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও বললেন। তিনিও অসম ও মিজোরাম সংঘর্ষে নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি এই ঘটনায় বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছেন। এদিন রাহুল গান্ধী মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে ফের ব্যর্থ হয়েছেন সে কথা তুলে ধরেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কংগ্রেস এবং তৃণমূল দুজনের সুরই একইভাবে মিলে যাচ্ছে এক্ষেত্রে, কার্যত জাতীয় রাজনীতিতে যা অন্যতম উল্লেখযোগ্য ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, জাতীয় রাজনীতিতে যখন তৃণমূল প্রাসঙ্গিক হবার চেষ্টা চালাচ্ছে, ঠিক সে সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাহুল গান্ধীর প্রতিক্রিয়া যেভাবে একই সুরে ধ্বনিত হয়েছে তা কার্যত মোদি সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এর পরিপ্রেক্ষিতে এখনো পর্যন্ত বিজেপির তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।