এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > কংগ্রেস শিবিরে ক্রমশ চড়ছে অশান্তির পারদ, সামাল দিতে আসরে গান্ধী পরিবার

কংগ্রেস শিবিরে ক্রমশ চড়ছে অশান্তির পারদ, সামাল দিতে আসরে গান্ধী পরিবার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাংলার পর এবার পাঞ্জাবের পালা। আগামী বছরের গোড়াতেই বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং এর রাজ্যে। পাঞ্জাব এমনিতেই কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য। খুব স্বাভাবিকভাবে পাঞ্জাবে গেরুয়া শিবির ক্ষমতা দখলের কোন চেষ্টাই বাদ রাখবেনা। সে জায়গায় কংগ্রেসকেও পাল্টা জবাব দিতে হবে। কিন্তু এখানেই শুরু হয়েছে সমস্যা। পাঞ্জাবে কংগ্রেসের অন্দরে ব্যাপক অন্তর্দ্বন্দ্ব দেখা যাচ্ছে। কার্যত সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংয়ের সঙ্গে তীব্র বিরোধিতা কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিং সিধুর। কার্যত এই নিয়ে দলের মধ্যে ইতিমধ্যেই ভাঙন পরিস্থিতি উপস্থিত।

আর এই পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি দলের ভারসাম্য রক্ষা করতে বড়োসড়ো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছেন রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলে শোনা যাচ্ছে। কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, কংগ্রেস নেতা সিধুকে পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নিয়োগ করা হতে পারে। এসম্পর্কিত নির্দিষ্ট ঘোষণা অবশ্য এখনো হয়নি। সম্প্রতি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিং এর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন সিধু। তারপর থেকেই পাঞ্জাব কংগ্রেসে শুরু হয়েছে ব্যাপক অশান্তি। এই পরিস্থিতিতে আবার রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রশান্ত কিশোর। কার্যত প্রশান্ত কিশোর পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংয়ের ভোট কৌঁশলী হিসেবে কাজ করছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, হয়তো সিধুকে নিয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রশান্ত কিশোর উৎসাহিত করেছেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতা-নেত্রীকে। কারণ প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে সম্প্রতি রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াংকা গান্ধীর বৈঠক। তবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে সিধুকে কতটা মেনে নেবেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী, তা নিয়ে কিন্তু এখনও যথেষ্ট সন্দেহ আছে। সে ক্ষেত্রে যদি বিরোধিতা চলতে থাকে তাহলে দল এবং সরকার আলাদা হয়ে যাবে, যা আগামী বিধানসভা নির্বাচনে পাঞ্জাবে কংগ্রেসের জন্য বড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলেই আশংকা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে পাঞ্জাবে বিজেপির অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। সেখানে শিরোমণি অকালি দল কৃষি আইনের বিরোধিতা করে ইতিমধ্যেই এনডিএ জোট ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু আকালি দলের সঙ্গে জোট বেঁধেছে মায়াবতীর বিএসপি। সব মিলিয়ে পাঞ্জাবের ভোটের ভিন্ন ভিন্ন সমীকরণ যথেষ্ট চাঞ্চল্য তৈরি করছে। এই অবস্থায় কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটানোর পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড যে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন, তা কি আদৌ দলের দুই হেভিওয়েট এর মধ্যে সমস্যা মেটাতে পারবে? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!