এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিক্ষুব্ধ বিজেপি ও ভোট কাটাকাটির অংকে খড়্গপুরে বাজিমাতের আশায় তৃণমূল থেকে কংগ্রেস

বিক্ষুব্ধ বিজেপি ও ভোট কাটাকাটির অংকে খড়্গপুরে বাজিমাতের আশায় তৃণমূল থেকে কংগ্রেস


 

ভোটের অংক খুবই কঠিন। শাসক-বিরোধী কাটাকুটিতে শেষ পর্যন্ত কোন দলের প্রার্থী শেষ হাসি হাসবে, তা একমাত্র বলতে পারবে ভোটবাক্স। তবে রাজনৈতিক মহল থেকে বিশ্লেষক, প্রায় প্রত্যেকেই সেই ভোটের আগে ফলাফল বের করতে তৎপর হয়ে ওঠেন। আর তাই রাজ্যের হেভিওয়েট কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রে কোন প্রার্থী জয়লাভ করবে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে তৈরি হয়েছে জল্পনা।

বস্তুত, গত 2011 সালে খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করে বিধায়ক হন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা জ্ঞানসিং সোহনপাল। তবে 2016 বিধানসভা নির্বাচনে সেই কংগ্রেস নেতাকে পরাস্ত করে 60 হাজার ভোটে জয়লাভ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর দিলীপবাবু এখানকার বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই এখানে বিজেপির উত্থান ঘটতে থাকে।

পরবর্তীতে সদ্যসমাপ্ত 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে সেই দিলীপ ঘোষ মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়ে 45000 ভোট বৃদ্ধি করেন। যেখানে বিজেপির বিধানসভায় পাওয়া 61 হাজার ভোট বেড়ে হয় 93 হাজার। আর দীলিপবাবু সাংসদ হয়ে যাওয়ায় এবার তার ছেড়ে যাওয়া এই খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

আগামী 25 নভেম্বর এই কেন্দ্রের উপনির্বাচন। আর তার আগে সমস্ত রাজনৈতিক দল নিজেদের ঘুটি সাজাতে শুরু করেছে। শেষ পর্যন্ত এই কেন্দ্র কার দখলে থাকবে, তা বোঝা যাবে আগামী 28 নভেম্বর ভোটবাক্স খোলার পরেই। বস্তুত, এককালে এই খড়গপুর বিধানসভা কংগ্রেসের দখলে ছিল।

আর এবার বাম এবং কংগ্রেসের জোট সম্পন্ন হওয়ায় তাঁরা আশাবাদী যে, তারাই এবার এই কেন্দ্র দখল করবেন।কেননা এক্ষেত্রে তারা বিজেপি এবং তৃণমূলের প্রার্থী নিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের সুবিধা পাবে বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের একাংশের। জানা গেছে, এখানে তৃণমূলের তরফে প্রার্থী করা হয়েছে প্রদীপ সরকারকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী করা হয়েছে প্রেমচাঁদ ঝাকে। কিন্তু বিজেপি হোক বা তৃণমূল, প্রার্থী নিয়ে কিছুটা হলেও অসন্তোষ বজায় রয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে এই দুই দল যদি নিজেদের কোন্দল না থামাতে পারে এবং তার প্রভাব যদি ভোটবাক্সে পড়ে, তাহলে সেদিক থেকে ভোট কাটাকুটিতে বাম-কংগ্রেস প্রার্থী বেরিয়ে যাবে বলে আশাবাদী দুই দলের নেতারা।

এদিন এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক দেবাশিস ঘোষ বলেন, “চাচার আমলে আমরা যে ভোট পেয়েছিলাম, এবার সেই ভোট আমরা পাব। বিজেপির ভোট কাটবে। সেই সঙ্গে প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ থাকায় তৃণমূল এবং বিজেপির বিক্ষুব্ধ ভোট আমাদের পক্ষে আসবে। এই কেন্দ্রে জয় নিয়ে আমরা আশাবাদী।” একইভাবে এই প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা বিপ্লব ভট্ট বলেন, “আমাদের ভোট বাড়বে। সঙ্গে দুই দলের বিক্ষুব্ধ ভোট থাকছে। প্রার্থী হিসেবে চিত্তরঞ্জনবাবুকে সাধারণ মানুষ ভালো বলেছেন। এটাই জয়ের জন্য যথেষ্ট।”

তবে কংগ্রেস এবং সিপিএম তাদের দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করানোর ব্যাপারে আত্মপ্রত্যয়ী মনোভাবই করলেও তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল এবং বিজেপি। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “বিজেপির ভোট দলীয় প্রার্থীর পক্ষে আসবে। লোকসভা ভোটে স্থায়ী সরকারের কথা ভেবে যে ফ্লোটিং ভোট বিজেপিতে চলে গিয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন দেখে সেই ভোট বিজেপির কাছ থেকে আমাদের দিকে আসবে। ফলে এই আসনে জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা।” তবে এই কেন্দ্র 2016 সাল থেকে যাদের দখলে ছিল, সেই গেরুয়া শিবির কি বলছে!

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য নেতা তুষার মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি গৌতম ভট্টাচার্য, সকলেই দলীয় প্রার্থীর জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার কথা শুনিয়েছেন। পাশাপাশি জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে এই কেন্দ্রের ভূতপূর্ব বিধায়ক তথা মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, “গত তিনটি ভোটে এই কেন্দ্রে বিজেপি জিতেছে। এবারও জিতবে। ওদের কোনো অঙ্ক কাজ করবে না। এখানকার মানুষ বরাবরই তৃণমূল বিরোধী। তাই তাদের প্রার্থী ভোট পান না। তার ওপর আমরা জেতার পর খড়্গপুরে মাফিয়া রাজ বন্ধ হয়েছে। মানুষ শান্তিতে আছেন। তাই আমরাই ভোট পাব।” সব মিলিয়ে নানা অংক, সমীক্ষার পর এখন চূড়ান্ত সমীক্ষায় ভোটবাক্স খোলার পর কে শেষ হাসি হাসে, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!