এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কংগ্রেস-তৃণমূল সংঘর্ষ অব্যাহত, লোকসভার আগের জল্পনা বাড়িয়ে ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে চোপড়া

কংগ্রেস-তৃণমূল সংঘর্ষ অব্যাহত, লোকসভার আগের জল্পনা বাড়িয়ে ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে চোপড়া

লোকসভা নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই যেন রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের লক্ষীপুর পঞ্চায়েত। সূত্রের খবর, সোমবার এই লক্ষীপুর পঞ্চায়েতের দক্ষিণটোলা গ্রামে কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে এক সংঘর্ষে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। জানা যায়, স্থানীয় তৃণমূল কর্মী কামিরূদ্দিনের সঙ্গে তারই পাশের বাড়ির এক কংগ্রেস কর্মী জাফরের জমির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিবাদ ছিল।

গতকাল এই সীমানা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে তীব্র গন্ডগোলের সৃষ্টি হয়। আর এরপরই সেখানে গিয়ে গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা জমিলা খাতুনের স্বামী নূর আলম। আমিন ডেকে জমির মাপযোগ করে দু’পক্ষের মধ্যে এই সমস্ত বিবাদ মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

অভিযোগ, এরপরই নুর আলম সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফেরার সময় হঠাৎই কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা তাঁকে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে ব্যাপক মারধর করে। শুরু হয় ব্যাপক সংঘর্ষ। আর এই ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় দুইজনকে ভর্তি করা হয় ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ এসে চারজনকে গ্রেপ্তারও করে।

এদিকে তার স্বামীর ওপর এইভাবে আঘাত নেমে আসায় এদিন স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা জমিলা খাতুন বলেন, “কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরাই আমার স্বামীকে মারধর করেছে। এমনকি আমি বাচাতে গেলে ওরা আমাকেও মারধর করে।” তবে এই গোটা ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে হাত শিবির।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের লক্ষীপুরের অঞ্চল সভাপতি সইদুল ইসলাম বলেন, “দুই পরিবারের জমি নিয়ে বিবাদ। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। তৃণমূল মিথ্যেই আমাদের নামে অভিযোগ করছে।” রাজনৈতিক মহলের মতে , বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই এই চোপরা, লক্ষ্মীপুর, ঘিরনিগাও অঞ্চলে ক্রমাগত উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। সামনে লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগে যদি এই রাজনৈতিক সংঘর্ষ আটকানো না যায় তাহলে অচিরেই বিপদজনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!