এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ একুশের বিধানসভা নির্বাচনকালে ডেকে আনল বড় বিপদ

কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ একুশের বিধানসভা নির্বাচনকালে ডেকে আনল বড় বিপদ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যজুড়ে উত্তপ্ত আবহাওয়া। রাজ্যের প্রতিটি রাজনৈতিক দল এই মুহূর্তে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে আসরে। তবে তৃণমূল এবং বিজেপি রাজনীতির ময়দানে অন্যতম মুখ্য শিবির হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পাশাপাশি রাজনীতির মঞ্চে কংগ্রেস এবং সিপিএম একুশের বিধানসভা নির্বাচনের মসনদ দখল করতে জোট বেঁধেছে। তবে বাম কংগ্রেস জোট বেঁধে বিভিন্ন পরিকল্পনা করলেও দেখা যাচ্ছে, কংগ্রেস কিন্তু গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আড়ালে তাঁদের লক্ষ্য হারাচ্ছে।

বর্তমানে কংগ্রেস শিবিরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এতটাই বেড়ে গেছে যে তীব্র বিরক্তি প্রকাশ করে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান এবার ঘোষণা করে দিলেন 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে তিনি আর ভাগ নেবেন না। যদিও ব্যাপারটি সামলাতে ইতিমধ্যেই আব্দুল মান্নানের ঘনিষ্ঠরা নেমে পড়েছেন আসরে। প্রদেশ কংগ্রেসের বহু নেতা ইতিমধ্যেই দলবদল করেছেন। কিন্তু কংগ্রেসের গোড়া থেকেই প্রায় রয়ে গিয়েছেন কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান। আব্দুল মান্নান নিজেই জানিয়েছেন যে কংগ্রেসের গোড়াপত্তন থেকে তিনি সাথে রয়েছেন, কংগ্রেসেই তিনি রাজনীতি শেষ করবেন। সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্র প্রয়াত হয়েছেন আর তারপরেই অধীর চৌধুরী হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।

অধীর চৌধুরী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে দেখতে চেয়ে কিন্তু আব্দুল মান্নানও হাইকমান্ডের কাছে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু অধীর চৌধুরী দায়িত্ব পাওয়ার পরেই অন্য রূপ দেখিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। নিজের মতন করে সংগঠন সাজাচ্ছেন অধীর চৌধুরী। আর সে ক্ষেত্রে গুরুত্ব পেয়েছেন মুর্শিদাবাদে তাঁর ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতারা। বর্তমানে প্রদেশ কংগ্রেস নিয়ে ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন আবদুল মান্নান। তিনি জানিয়েছেন, কংগ্রেস দলনেতা হলেও তিনি সম্পূর্ণ অন্ধকারে থাকছেন। তাঁকে অন্ধকারে রেখেই প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে বিরক্তি প্রকাশ করলেও আব্দুল মান্নান বিশদে এই নিয়ে কিছুই বলেননি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে আব্দুল মান্নানকে বিগত বেশ কিছুকাল ধরে দলের রাজ্য দপ্তর বিধানভবনে আর দেখা যায়না। কিছুটা মান অভিমানের কারণেই দলের রাজ্য দপ্তর থেকে সরে গিয়েছেন আব্দুল মান্নান। খুব দরকারে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সঙ্গে কথা হয় তাঁর ফোনের মাধ্যমে। কংগ্রেসের অন্দরের খবর, অধীর চৌধুরীর সঙ্গে আব্দুল মান্নানের একপ্রকার আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক। সূত্রের খবর, হুগলি জেলার দায়িত্বপ্রাপ্তদের তালিকা তৈরি করার সময় আব্দুল মান্নানের সঙ্গে কোন রকম কথা বলা হয়নি বলে জানা গেছে।

পাশাপাশি কংগ্রেসে থেকেও আব্দুল মান্নানের সখ্যতা কিন্তু গড়ে উঠেছে বাম শিবিরের সাথে। বিভিন্ন সময়ে তাঁকে যেমন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর সঙ্গে জেলা সফরে দেখা যায়, ঠিক তেমনই সুজন চক্রবর্তীর সঙ্গেও সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিনি। তবে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে তিনি যে আর কোনরকম প্রতিদ্বন্দিতা করবেন না সে সিদ্ধান্তে অটল আব্দুল মান্নান। তবে তিনি এখনো পর্যন্ত কংগ্রেস হাইকমান্ডকে এই নিয়ে কিছু জানাননি বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনী লড়াই যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছে।সেক্ষেত্রে কংগ্রেস এবং বাম শিবির একজোট হয়ে বিজেপি এবং তৃণমূলকে কোণঠাসা করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এই অবস্থায় আব্দুল মান্নান নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতা না করে কিন্তু এক প্রকার কংগ্রেস শিবিরকেই বিপদে ফেললেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই। আপাতত গোষ্ঠীদ্বন্দের করালগ্রাস থেকে কংগ্রেস কিভাবে উদ্ধার পায়, তার দিকেই নজর থাকবে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!