এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কনস্টেবল নিয়োগ নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি ভবানী ভবন এলাকা, পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠি হাতে পুলিশ

কনস্টেবল নিয়োগ নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি ভবানী ভবন এলাকা, পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠি হাতে পুলিশ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে আবার ধুন্ধুমার পরিস্থিতি চাকরি নিয়ে। কার্যত দীর্ঘদিন পর প্রাইমারি এবং আপার প্রাইমারিতে আটকে থাকা চাকরীর ইন্টারভিউ পদ্ধতি শুরু হয়েছে কোর্টের নির্দেশে। কিন্তু এবার সমস্যার শুরু হয়েছে অন্য চাকরির ক্ষেত্রে। জানুয়ারি মাসে পুলিশের চাকরিতে যোগ দেবার জন্য জয়নিং লেটার পেয়েও জয়েন করতে পারছেন না হাজারের ওপর কনস্টেবল পদে চাকরিপ্রার্থীরা। আর তাই নিয়ে আজ ব্যাপক বিক্ষোভ দেখানো শুরু হয়েছে ভবানী ভবনের সামনে। জানা যাচ্ছে, গত 28 শে জানুয়ারি পুলিশের চাকরিতে জয়েন করার জন্য অন্তত সাড়ে 6 হাজার নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। কিন্তু শুধুমাত্র 819 জনের নিয়োগ হয়েছে।

বাকিরা কেন এখনো পর্যন্ত চাকরিতে জয়েন করতে পারেননি, সেই প্রশ্ন নিয়ে আজকে ভবানী ভবনের সামনে জড়ো হন হাজারখানেক চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের তরফ থেকে প্রশ্ন উঠেছে, কিছুসংখ্যক মানুষ যদি জয়েন করতে পারে কনস্টেবলের চাকরিতে, তাহলে জয়নিং লেটার থাকা সত্বেও তাঁরা কেন পারবেন না? এক্ষেত্রে জানা যাচ্ছে, এই সংক্রান্ত একটি মামলাও চলছে। সেখানে ছয় মাসের সময় দেওয়া হয়েছিল চাকরিতে যোগ দেওয়ার। কিন্তু আট মাস পেরিয়ে গেলেও চাকরিপ্রার্থীরা এখনো জয়েন করতে পারেননি। আর এই নিয়েই তাঁরা ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেন আজকে।  চাকরির লেটার পাওয়ার পরেও কেন তাঁরা কর্মহীন অবস্থায় দিন কাটাবেন? এটাই হচ্ছে প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি কিছুসংখ্যককে কেন নিয়োগ করা হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। আর খুব স্বাভাবিকভাবেই এক্ষেত্রে দুর্নীতির যোগ থাকা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আজকে ভবানী ভবনের সামনে সকাল থেকেই কয়েক হাজার কনস্টেবল পদে চাকরি প্রার্থীরা তুমুল হট্টগোল শুরু করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে কলকাতা পুলিশ এবং আলিপুর থানার পুলিশকে রাস্তায় নামতে হয়। করোনা পরিস্থিতিতে যখন বিধিনিষেধ চলছে রাজ্যের সর্বত্র, সে সময় এভাবে আন্দোলন চলাকালীন বারংবার অনুরোধ করা হয় সরে যেতে। অবশেষে ডিসি সাউথ প্রতিবাদকারীদের সাথে এসে দেখা করে আশ্বাস দেন।

কিন্তু তাতেও চিঁড়ে ভেজেনা। এরপর বিক্ষোভকারীরা মাটিতে বসে পড়েন। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার পুলিশকে লাঠি হাতে তেড়ে আসতে দেখা যায়। এবং প্রতিবাদকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে ভাবানীপুরের সামনে পরিস্থিতি এই মুহূর্তে অত্যন্ত উত্তেজক হয়ে রয়েছে। আপাতত সরকারি চাকরির নিয়োগে আদৌ কোনো দুর্নীতি হয়েছে নাকি সঠিকভাবেই কিছু জনের নিয়োগ হয়েছে, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। পাশাপাশি এতজন চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ কি হবে তা নিয়েও চিন্তা ঘনাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!