এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কন্টেনমেন্ট এলাকাগুলোয় পুলিশ কড়াকড়ি এড়িয়ে সভা শাসকদলের, ক্ষোভ এলাকায়

কন্টেনমেন্ট এলাকাগুলোয় পুলিশ কড়াকড়ি এড়িয়ে সভা শাসকদলের, ক্ষোভ এলাকায়


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাড়ছে করোনা ভাইরাসের দাপট। আনলক পর্ব চলার পরেও কোনো রকম জমায়েতের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু ভয়াবহ ভাইরাসের দাপট বাড়ার সাথে সাথে বেশ কিছু জায়গাকে কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করে ফের সেখানে কড়া লকডাউনের কথা জানিয়েছে প্রশাসন। বিনা কারণে সাধারণ মানুষ বাইরে বেরোলেই পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের বাড়িতে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে লকডাউনের পরেও সভা করতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। কনটেইনমেন্ট জোনের মধ্যে কেন এভাবে শাসকদল সভা করছে, এখন তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শনিবার থেকে গোটা সমসেরগঞ্জ ব্লক 5 দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই সেই লকডাউন লাগু হয়েছে। কিন্তু এই এলাকাতেই জৈন কলোনির মোড়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এদিন সভার আয়োজন করা হয়েছিল।

কনটেইনমেন্ট জোন থাকা সত্ত্বেও কেন তৃণমূল এইরকম দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করল, তা নিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। তাহলে কি মানুষের জীবন অপেক্ষা নিজেদের সভা করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ শাসকদলের কাছে? পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে কেন তৃণমূল নেতারা এভাবে জমায়েত করে সভা করছেন? এর ফলে তো সংক্রমণ আরও বাড়বে! যেখানে সাধারন মানুষ কষ্ট হলেও বাইরে বের হচ্ছেন না, সেখানে তৃণমূলের এই সভা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় কি দিচ্ছে না? ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক তোয়াব আলি বলেন, “চারিদিকে করোনা নিয়ে এত উদ্বেগ, আশঙ্কা সত্ত্বেও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস শহরের বুকে সভা করছে। এর আগেও তারা জমায়েত করেছে। পুলিশ এক্ষেত্রে নীরব দর্শক। দুই, চারটি লোককে গ্রেপ্তার করে করোনা ঠেকানো যাবে না। সমস্ত ধরনের জমায়েত পুলিশকে আটকাতে হবে।” সত্যিই তো তাই! কেন তৃণমূল সভা করলে পুলিশের চোখে পড়ছে না?

তাহলে কি শাসকদল জন্য তাদের ক্ষেত্রে এত ছাড়! কিন্তু এক্ষেত্রে তো মানুষের জীবন সব থেকে আগে। তারা যদি এভাবে সভা করেন, তাহলে সাধারন মানুষ তো আরও বেশি করে সংক্রমিত হবেন? এদিন এই প্রসঙ্গে জঙ্গিপুরের এসডিপিও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ধুলিয়ানের জমায়েত করার কোনো অনুমতি পুলিশের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। তা সত্ত্বেও কিভাবে সভা হল, তা দেখছি।” যদিও বা এই সভার ব্যাপারে খুব একটা দোষ দেখছেন না ব্লক তৃণমূল সভাপতি সহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, “দূরত্ব বিধি মেনেই আমরা ছোট করে সভা করেছি। পুলিশের অনুমতি নিয়েছিলাম। কর্মী ও বক্তা সকলেই মাস্ক পড়েছিলেন।” একাংশের প্রশ্ন, সরকার যখন লকডানের আইন তৈরি করেছে, তখন কি তৃণমূল একমাত্র সভা করতে পারবে, সেই বিষয়টি সেখানে লিখে রেখেছিল! আর তাই এখন মানুষ যখন ঘরের ভেতর, যখন সকলে আতঙ্কে রয়েছে, তখন তৃণমূল শুধুমাত্র বাইরে বেরিয়ে সভা করার অনুমতি পাচ্ছে? কেন পুলিশ এক্ষেত্রে দেখেও না দেখার ভান করছেন! এখন তা নিয়েই সরব হচ্ছেন সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!