“উপরমহলের” নির্দেশে তৃণমূলের জেলা সভাপতি এখন প্রশাসনেরও জেলা সভাপতি? উত্তাল উত্তরবঙ্গ উত্তরবঙ্গ রাজ্য December 5, 2019 বিরোধীদের তরফে দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করা হচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেস এবং প্রশাসন এক হয়ে গিয়েছে। এমনকি অনেকে কৌতুক করেও দাবি করেছেন যে, সরকারি আধিকারিকরা এখন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি। অর্থাৎ রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে বিরোধীরা এই অভিযোগ তুলে প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন, রাজ্যে প্রশাসন বলে কিছু নেই। সবটাই দলতন্ত্র চলছে। তবে বরাবরই শাসকদলের পক্ষ থেকে এই সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। কিন্তু শাক দিয়ে তো মাছ ঢাকা যায় না। তাই এবার সরকারি অনুষ্ঠানে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষকে “নিজেদের জেলা সভাপতি” করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা আঞ্চলিক পরিবহন আধিকারিক সন্দীপ সাহা। যা নিয়ে এখন তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে জেলা রাজনীতিতে। সূত্রের খবর, বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা শাসকের দপ্তরে ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং স্মার্ট কার্ড বিলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জেলাশাসক নিখিল নির্মল, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান অর্পিতা ঘোষ সহ আঞ্চলিক পরিবহন দপ্তরের আধিকারিক এবং কর্মীরা। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে উঠে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন আরটিওর সন্দীপ সাহা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন তিনি বলেন, “জেলাশাসক ও অর্পিতা ঘোষ ম্যাডাম, আমাদের জেলা সভাপতির প্রয়াসে স্মার্ট কার্ড চালু করা সম্ভব হয়েছে।” আর এই কথা নিয়েই তৈরি হয়ে যায় বিতর্ক। সরকারি অনুষ্ঠানে কেন সন্দীপবাবু একজন সরকারি আধিকারিক হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রীকে “নিজের জেলা সভাপতি” বলে অভিহিত করলেন! তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সোচ্চার হয়েছে বিরোধীরা। একাংশ বলছেন, মুখ ফসকে আসল কথাটা বের করে ফেলেছে আরটিওর সন্দীপ সাহা। এতদিন বিরোধীদের মিটিং, মিছিল না করার অনুমতি দিয়ে সরকার অন্য যুক্তি দেখাত। কিন্তু আজ প্রমাণ হয়ে গেল যে, সরকারি আধিকারিকরা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রীকে নিজেদের জেলা সভাপতি হিসেবে গণ্য করে বলে দাবি বিরোধীদের। তবে এই ব্যাপারে অবশ্য চাপে পড়ে অন্য যুক্তি দিচ্ছেন সেই সন্দীপ সাহা। এদিন তিনি বলেন, “আমাকে উপরমহল থেকে যেভাবে বলতে বলা হয়েছে, আমি সেভাবেই বলেছি। এর বাইরে কিছু বলতে পারব না।” কিন্তু কে বা কারা তাকে এই নির্দেশ দিলেন! উপরমহল বলতে কি সন্দীপবাবু তাহলে জেলাশাসকের দিকেই আঙুল তুললেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিভিন্ন সময় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় জেলা প্রশাসন এবং তৃণমূল কংগ্রেস এক রাস্তায় হাঁটছে বলে দাবি করেছে বিরোধীরা। আর এবার আরটিওর সন্দীপবাবু জেলা তৃণমূল সভানেত্রীকে নিজেদের জেলা সভাপতি বলায় সেই বিতর্ক আরও বেড়ে গেল। সব মিলিয়ে প্রশাসন এবং তৃণমূল কংগ্রেস কি একই ভাবে চলছে! দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় অদ্ভুত ঘটনা ঘটার পর এখন এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মনে। আপনার মতামত জানান -