এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > দিলীপ ঘোষকে দিয়ে পুজো উদ্বোধন করানোয় জুয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৬ উদ্যোক্তা!

দিলীপ ঘোষকে দিয়ে পুজো উদ্বোধন করানোয় জুয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৬ উদ্যোক্তা!

দুর্গাপুজোর পর এবার কালীপুজোর বাজারে একের পর এক হেভিওয়েট নেতার মুখ দেখা যাচ্ছে পূজো উদ্বোধনে। তবে, দুর্গাপুজোতে বেশিরভাগ জায়গায় ‘আটকে’ গেলেও, কালীপুজোর উদ্বোধনে বিজেপি নেতাদের অনেক জায়গাতেই দেখা যাচ্ছে ফিতে কাটতে। সারা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পুজো উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে জনসংযোগ করতে চাইছেন নেতা-মন্ত্রীরা। আর সেই উদ্যোগে সাড়া দিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবার পুজো উদ্বোধন করলেন মেদিনীপুর শহরে।

কিন্তু পুজো উদ্বোধনের পরেই সেই মণ্ডপে ‘কাকতালীয়ভাবে’ গ্রেপ্তার হল 6 জন, জুয়া খেলার অপরাধে। এই ঘটনায় এবার রাজ্যের শাসক শিবির ও বিরোধী শিবিরের মধ্যে তীব্র সংঘাত বেঁধেছে। মেদিনীপুর শহরের দুই নম্বর ওয়ার্ডের বিবেকানন্দ পল্লীতে কালীপুজোর উদ্বোধনে পা রাখলেন অতিথি হিসাবে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অন্যান্যবার এই মণ্ডপে তৃণমূল নেতা নেত্রীদের দেখা গেলেও এবারে সেখানে বিজেপির আধিপত্য। শনিবার এই পুজোর উদ্বোধন করেন দিলীপ ঘোষ।

তবে এদিন এই পুজো মণ্ডপ থেকে পুজো কমিটির ছয়জনকে জুয়া খেলার অপরাধে গ্রেপ্তার করার ঘটনায় মেদিনীপুর শহরে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি জানানো হয়েছে, স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতেই পূজা কমিটির সদস্যদের জুয়ার বোর্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে। পুলিশের এই দাবি একেবারেই মানতে নারাজ গেরুয়া শিবির। বিজেপির পক্ষ থেকে জেলা সম্পাদক অরুন দাস এই প্রসঙ্গে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি জানিয়েছেন, যেহেতু রাজ্য বিজেপি সম্পাদক দিলীপ ঘোষ পুজো উদ্বোধন করেছেন, সেহেতু বিজেপি কর্মীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন‍্য পুলিশ মিথ্যা মামলায় পুজো কমিটির সদস্যদের গ্রেফতার করেছে। অরুন দাস আরোও দাবি করেন, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর নির্মাল্য চক্রবর্তীর অঙ্গুলিহেলনেই এই ঘটনা ঘটেছে। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়ে কাউন্সিলর নির্মাল্য চক্রবর্তী বলেন, স্থানীয়দের কাছে অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশ জুয়ায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করেছে। এখানে তৃণমূল দলের কোনো ভূমিকা নেই।

এর পাশাপাশিই, জুয়ার আসর থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার পরে রাজনৈতিক দোষারোপ করে বিজেপি নিজের কালিমা ঢাকার চেষ্টা করছে বলে জানালেন তিনি। প্রসঙ্গত, রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাম্প্রতিককালে বহুবার অভিযোগ এনেছেন, পুলিশ রাজ্য সরকারের দলদাস হিসেবে কাজ করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই বলেই তিনি জানান। এদিন দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন, বিজেপি করার জন্যই কর্মীদের মিথ্যে মামলায় বারবার ফাঁসানো হচ্ছে।

একই সঙ্গে দিলীপবাবু এদিন পুলিশ প্রশাসনকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, লোকসভা নির্বাচনের পর হাওয়া অন্যদিকে ঘুরছে, তাই পুলিশেরও বোঝা উচিত তা। ফলে কালীপুজোর আবহে তৃণমূল-বিজেপির দ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেল বলে মন করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আর সেই বিতর্কে পুলিশ-প্রশাসনের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় শাসকদলের অস্বস্তি আরও তীব্র হল বলে মনে করছেন তাঁরা। আগামীদিনে, এই তরজা ঠিক কোনদিকে মেদিনীপুরের রাজনীতিকে নিয়ে যাবে, সকলের চোখ এখন সেদিকেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!