এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বাংলায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে আবার বড়সড় পদক্ষেপ কমিশনের – জানুন বিস্তারিত

বাংলায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে আবার বড়সড় পদক্ষেপ কমিশনের – জানুন বিস্তারিত


আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় যে কোনো মূল্যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করাতে মরিয়া জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কিছুদিন আগেই হয়ে যাওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে অভিযোগের শেষ ছিল না বিরোধীদের – যা নিয়ে কার্যত মুখ পুড়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। বিরোধীদের দাবি ছিল – গণতন্ত্রের উৎসবের নামে কার্যত প্রহসন হয়েছে বাংলায়, শাসকদল যেভাবে ভোট লুঠ করেছে তাতে নাকি গণতন্ত্র শব্দটিই লজ্জিত!

আর এই পরিস্থিতিতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের হৃত মর্যাদা পুনরুদ্ধারই যে পাখির চোখ কমিশনের তা বারেবারে প্রমাণিত। কোথাও কোনো অভিযোগ পেলেই সাথে সাথে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে কমিশন। কিছুদিন আগেই কলকাতা ও বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার সহ চার পুলিশ কর্তাকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে বদলি করে দেয় নির্বাচন কমিশন। যা নিয়ে তৃণমূল তীব্র উষ্মা প্রকাশ করলে, কড়া ভাষায় পাল্টা জবাব দেয় নির্বাচন কমিশন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেই ঘটনার রেশ মিটতে না মিটতেই, এবার প্রথম দফার ভোটার মাত্র একদিন আগে হঠাৎ করে কুচবিহারের এসপিকে অপসারিত করে আবার চমকে দিল নির্বাচন কমিশন। কিছুদিন আগেই বিজেপির সভাস্থলে জলপাই রঙের গেঞ্জি পড়া ও কাঁধে বন্দুক নেওয়া এক যুবককে চেপে ধরেন কুচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামানিক। জেরার মুখে সেই যুবক নিজেকে পুলিশের লোক বলে দাবি করলেও, তার স্বপক্ষে কোনো প্রমান দেখাতে পারেননি। আর তারপরেই নিশীথ প্রামানিক তো বটেই, বিজেপি নেতা মুকুল রায়ও প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন কুচবিহারের এসপির নির্দেশেই তৃণমূলের ক্যাডাররা পুলিশের পোশাকে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।

এমনকি, মুকুল রায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভা থেকেই কার্যত হুমকির সুরে কুচবিহারের এসপি অভিষেক গুপ্তর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনি কতবড় অফিসার দেখে নেব। আর এইসবের পরিপ্রেক্ষিতেই নির্বাচন কমিশন রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দেকে নোটিশ পাঠিয়ে জানিয়ে দিল অবিলম্বে কুচবিহার জেলার পুলিশ সুপার পদ থেকে অভিষেক গুপ্তকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় আইবির সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট পদে কর্মরত অমিত কুমার সিংকে আনা হল। শুধু তাই নয়, অভিষেক গুপ্তকে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও ডিউটিতে পর্যন্ত রাখা যাবে না। আর এই ঘটনার পিছনে মুকুল রায় ও নিশীথ প্রামানিকের ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ রয়েছে বলে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে শাসকদল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!