এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কোচবিহারের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুললেন হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা

কোচবিহারের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুললেন হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ৪ জন মানুষের। সিআরপিএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, আত্মরক্ষার কারণেই গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছিলেন তাঁরা। তবে এই ঘটনার জন্য বিজেপিকে দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীকেই কাঠগড়ায় তুললেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। গতকাল এক সাংবাদিক বৈঠকে আবদুল মান্নান জানান যে, মুখ্যমন্ত্রীর উস্কানির কারণেই এ সমস্ত ঘটেছে। মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করা তাঁর পুরনো অভ্যাস।

গতকাল এক সাংবাদিক বৈঠকে বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান জানালেন যে, মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করার অভ্যাস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনেক পুরনো। কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করার অর্থ হলো আগুনে ঘি দেওয়া। তিনি আশা করছেন, এই কাজ থেকে বিরত থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবদুল মান্নান জানান, কিছুদিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর বক্তব্যের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনীর একটি নির্দিষ্ট প্রটোকল থাকে। সেই প্রটোকল অনুযায়ী কেন্দ্রীয় বাহিনী কাজ করে থাকে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে, তাদেরকে ঘেরাও করে আক্রমণ করার চেষ্টা করলে, তারা পদক্ষেপ গ্রহণ করবেই। আবার শীতলকুচির ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। এ প্রসঙ্গে আবদুল মান্নান জানালেন, নিজের কাঁধ থেকে দোষ ঝেড়ে ফেলতেই এই ধরনের কথা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এমন কাজ করার জন্য উস্কানি দিয়েছিলেন।

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গে বিজেপিকেও ছেড়ে কথা বলেননি বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। বিজেপির প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, বিজেপি চাইছে তাদের পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে ভোট করাতে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন, নিজের হাতে পুলিশের নিয়ন্ত্রণ রাখতে। তিনি কটাক্ষ করেছেন, দুধ দুজনেই খাচ্ছেন। তৃণমূল চুমুক দিয়ে খাচ্ছে, আর বিজেপি খাচ্ছে স্ট্র দিয়ে। একারণে বিজেপিরটা দেখা যাচ্ছে না, কিন্তু তৃণমূল যেহেতু চুমুক দিয়ে খাচ্ছে, তাই তাদের গোঁফে দুধ লেগে থাকছে।

অন্যদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানালেন, দুটো দল গুন্ডামি করছে। গতকালের এই ঘটনা দুই দানব শক্তির লড়াই এর ফল। নির্বাচন ৮ দফায় হওয়া সত্বেও, কেন হিংসা হচ্ছে? তা নিয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। কেন গুলি চলল? তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর অর্থ এই নয় যে, গুলি চালাতে হবে। পুলিশ যেন সরকারের দ্বারা প্রভাবিত না হয়, সেটা দেখা দরকার। তিনি অভিযোগ করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে রাজ্য পুলিশের সংঘাতে মদত দিচ্ছেন। কমিশনকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না করলে নির্ভয়ে ভোট দেওয়া যাবে না। এই ঘটনা হলো বাংলার অপমান।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!