করোনা আবহে এবার এক বিরলরোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা পশ্চিমবঙ্গের এই জেলায়, বাড়ছে তীব্র আশঙ্কা অন্যান্য বিশেষ খবর মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য শরীর-স্বাস্থ্য August 22, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কিছুটা স্তিমিত হয়ে পড়েছে, তৃতীয় ঢেউয়ের বাড়ছে আশঙ্কা, করোনার তৃতীয় ঢেউ শিশুদের ওপর ব্যাপক আঘাত হানতে পারে বলে, আশঙ্কা করেছেন বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ। তবে সম্প্রতি কিছু বিশেষজ্ঞ ভিন্নমতও পোষণ করেছেন। এই অবস্থায় এক বিরল রোগে আক্রান্ত হতে শুরু করেছে শিশুরা মালদহ জেলায়। মালদহ জেলাতে অন্তত কুড়ি জন শিশু এই বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এই নতুন রোগের নাম হলো মিস সি বা মাল্টি সিস্টেম ইনফ্লামেটরি সিনড্রোম। এর রোগের উপসর্গ হলো জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, গায়ে হাতে লাল দাগ, বমি, পাতলা পায়খানার মতো সমস্যাগুলি। করোনার বেশ কিছু উপসর্গও দেখা যাচ্ছে এতে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন যে, বেশকিছু শিশুকে করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। এখনো পর্যন্ত যাদের সংখ্যা কুড়ি। দেখা যাচ্ছে এই শিশুদের বাড়ির কোন না কোন ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার পরেই শিশুদের শরীরে এই ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে। তবে করোনার সঙ্গে সরাসরি মিস সির সম্পর্ক আছে কিনা? তা এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি। এই শিশুদের মধ্যে উল্লিখিত উপসর্গগুলি ছাড়াও চোখ লাল হয়ে যাওয়া, ঠোঁট লাল হয়ে যাওয়া, গায়ে চাকা চাকা দাগ ইত্যাদির মতো সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এ প্রসঙ্গে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান চিকিৎসক জানিয়েছেন সুষমা সাহু জানিয়েছেন যে, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মোট ২০ জন শিশু এই রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু ভর্তি রয়েছে। এই শিশুদের প্রত্যেকেরই বাড়ির কোন না কোন ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন এপ্রিল-মে মাসে। সে সময় তাদের সান্নিধ্যে এসে পড়েছিল এই শিশুরা। তবে শিশুদের শরীরে তখন করোনার কোন উপসর্গ দেখা যায়নি। এ কারণে তাদের কোন পরীক্ষাও করানো হয়নি। এখন তাদের শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা যাচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, বাচ্চাদের গায়ে জ্বর, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, ঠোঁট লাল হয়ে যাওয়া, গায়ে চাকা চাকা দাগ ইত্যাদির মতো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। তবে, এই সমস্যাগুলি হলেই যে সেই শিশুটি আক্রান্ত, তা নাও হতে পারে। তবে তিনি জানালেন, করোনার কারণেই এই রোগ বিস্তার লাভ করছে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন যে, তাঁদের ধারণা ছিল, করোনার তৃতীয় ঢেউ বাচ্চাদের সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত করবে। এ কারণে তারা সমস্ত প্রস্তুতি নিয়েছেন। যেহেতু শিশুদের এখনো ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই তাদের নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। তবে শিশুদের মধ্যে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে, তা এখনও দেখা যায়নি। কিন্তু মাল্টি সিস্টেম ইনফ্লামেটরি সিনড্রোম শিশুদের আক্রান্ত করছে। এক মাস ধরে আরো এরকম একাধিক শিশু এই সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। তবে, তাদের চিকিৎসা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। এভাবে করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের হাতছানি যখন শোনা যাচ্ছে, একাধিক বিশেষজ্ঞ যখন জানাচ্ছেন করোনার তৃতীয় ঢেউ শিশুদের ওপর প্রবল আঘাত হানবে। সে সময়ে নতুন বিপদের মত উপস্থিত হল মিস সি বা মাল্টি সিস্টেম ইনফ্লামেটরি সিনড্রোম। মালদায় একের পর এক শিশু এই রোগে আক্রান্ত হওয়ায় চিকিৎসকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে। আপনার মতামত জানান -