এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনা আবহে বড়সড় ধাক্কা EPF-এ! সুদ নিয়ে ঘোষিত হল বড়সড় সিদ্ধান্ত! জেনে নিন বিস্তারিত ভাবে!

করোনা আবহে বড়সড় ধাক্কা EPF-এ! সুদ নিয়ে ঘোষিত হল বড়সড় সিদ্ধান্ত! জেনে নিন বিস্তারিত ভাবে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- করোনা পরিস্থিতিতে যেমন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর এসেছে বড় চ্যালেঞ্জ, তেমনই দেশের অর্থনীতির ওপরও এর ভালোমতো প্রভাব পড়েছে। আর তার ফলে অনেক দিন আগে থেকেই এসবিআই সুদ কমানোর দাবি তুলেছিল। একে একে এই কয়েক মাসে জিডিপি তলানিতে এসে ঠেকেছে। ব্যাঙ্কগুলির অবস্থা সঙ্কটজনক। এমন অবস্থায় কিছুদিন আগে শোনা গিয়েছিল পুরনো ঋণখেলাপিদের থেকেও টাকা নেবে সরকার। মূলত এভাবেই সরকারের যতটুকু টাকা ফিরিয়ে আনা যায় সেই চেষ্টাই করছে বলে মনে করেছিলেন অর্থনীতিবিদরা। তবে এবার সেইসঙ্গে ইপিএফও নতুন সুদের অংক বসতে চলেছে বলে খবর।

সম্প্রতি জানা গেছে, সদস‌্যদের জমা টাকার উপর ২০২০ অর্থবছরের সুদ দু’টি কিস্তিতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইপিএফও। কারণ করোনা আবহে তেমন ভাবে আয় মুখ দেখেনি এই সংস্থা। বুধবার ইপিএফও বোর্ডের তরফে তাদের সদস‌্যদের জানানো হয়েছে যে, প্রাথমিকভাবে তাদের জমা টাকার ওপর ৮.১৫ শতাংশ সুদ দেওয়া হবে গ্রাহকদের। তবে পরে সেটা দেওয়া হবে ০.৩৫ শতাংশ। এর সঙ্গে ইপিএফও (EPFO) জানিয়েছে, মার্চে যত টাকা উঠবে বলে হিসাব করা হয়েছিল, করোনার জেরে সেটা হবে না। ফলত এই সিদ্ধান্ত নিতে তারা বাধ্য হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গিয়েছে, মার্চ মাসে ইপিএফ ভেবেছিল ডিভিডেন্ড ও ইটিএফ (ETF) বেচে তারা ৩.৫ হাজার কোটি টাকা থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা পাবে। কিন্তু ইতিমধ্যে করোনার কারণে তা বেচা হয়নি। তবে অনুমান করা যায়, সেগুলি এখন নভেম্বর বা ডিসেম্বরে বেচা হতে পারে। কিন্তু তখনও যদি বাজারের অবস্থা খারাপ থাকে তাহলে কি হবে তা বোঝা যাচ্ছে না। আর তাই স্বাভাবিকভাবেই অনিশ্চয়তায় ভুগছেন আমানতকারীরা। তবে এক্ষেত্রে বছর শেষে যে বাকি সুদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে, সেটা আদৌ পূরণ হবে কিনা সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তবে বোর্ডের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভয় পাওয়ার কারণ নেই, তাদের প্রতিশ্রুতি মতো ৮.৫ শতাংশ সুদ দেওয়া হবে।

তবে আগের মার্চ অর্থাৎ ২০১৯-২০ অর্থবছরের কথা বললে বলতে হয়, সেই সময় ইপিএফ সদস‌্যদের ৮.৫ শতাংশ সুদ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল বোর্ড। যার সুদের হার সাত বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। এছাড়া তার আগের বছর ৮.৬৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হয়েছে। উপরন্তু এই সময় ইপিএফও জানিয়েছে, এখন ৮.১৫ শতাংশ সুদ দেওয়া হবে। আর ডিসেম্বরে দেওয়া হবে বাকি ০.৩৫ শতাংশ সুদ। করোনা পরিস্থিতিতে অনেক মানুষেরই চাকরি গিয়েছে। অনেকের হয়ত চাকরি যায়নি, কিন্তু বেতন কমেছে। তাই এই সংকটকালে হয়ত প্রভিডেন্ট ফান্ডের সঞ্চয় কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু সেখানেও ইপিএফও কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে স্বভাবতই আমানতকারীরা হতাশ হয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!