এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনা আবহে বড় জয় মমতার! বাংলায় কোনও কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে নি, মেনে নিল খোদ মোদী সরকারও!

করোনা আবহে বড় জয় মমতার! বাংলায় কোনও কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে নি, মেনে নিল খোদ মোদী সরকারও!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ঋণের দায়ে জর্জরিত হয়ে কৃষকদের আত্মহত্যার ঘটনা ভারতের একটি বড় সমস্যা। প্রায়ই শোনা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কৃষকদের আত্মঘাতী হওয়ার খবর। ভারতবর্ষের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে থাকা ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো দুর্ঘটনাজনিত এবং আত্মহত্যার কারণে মৃত্যুর পরিসংখ্যান গত শুক্রবার প্রকাশ করেছে। আর সেখানেই দেখা গেছে চমক। কারণ, পশ্চিমবঙ্গে এখনো পর্যন্ত কৃষকদের আত্মঘাতী হওয়ার সংখ্যা 0। এবং এই তথ্য রাজ্যের কোন আমলা বা মন্ত্রীর নয়, খোদ মোদি সরকারের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে।

সংসদে দলের রাজ্যসভার এমপি মানসরঞ্জন ভুঁইয়ার প্রশ্নের জবাবেই এদিন কেন্দ্রীয় সরকারকে গোটা সংসদের সামনে স্বীকার করতে হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে কোন কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেনি। লিখিতভাবেও এই তথ্য স্বীকার করে নিয়েছে মোদি সরকার। অন্যদিকে দেখা গেছে- উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, কর্ণাটক, অসমের মতন বিজেপি শাসিত রাজ্যে এমন কি নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাটেও প্রচুর পরিমাণে কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।  তৃণমূল দাবি করেছে, পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃষকদের জন্য যে কৃষকবান্ধব নীতি কার্যকর করেছেন, এ তারই ফল।

ঐ নীতির ফলেই কৃষকদের আত্মহত্যার ঘটনা রোধ করা গেছে পশ্চিমবঙ্গে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে সংসদে দাবি করা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃষকবান্ধব নীতি যদি কেন্দ্রীয় সরকারও মেনে চলে, তাহলে সমস্ত দেশের ছবি অন্যরকম হবে। অন্যদিকে এনসিআরবি এর রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, 2019 সালে গোটা দেশে 10281 জন কৃষক ও কৃষি কাজে যুক্ত কর্মী আত্মহত্যা করেছেন। যার মধ্যে গুজরাটেই শুধু মারা গিয়েছেন 117 জন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এছাড়া মধ্যপ্রদেশে 541 জন, উত্তরপ্রদেশে 261 জন এবং কর্নাটকে 1992 জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। আর সবথেকে বেশি কৃষক আত্মহত্যা করেছে মহারাষ্ট্রে। সেখানে মারা গেছেন 3927 জন কৃষক। তবে জানা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের মতনই দেশের আরো দুই রাজ্যের কৃষক আত্মহত্যা সংখ্যা 10 এবং সেই দুটি রাজ্য হল বিহার এবং ওড়িশা। এদিন সংসদে কৃষকদের ওপর মহামারীর প্রভাব কতটা পড়েছে তা নিয়ে বিরোধীরা চাপে ফেলার উদ্দেশ্যে মোদি সরকারকে প্রশ্ন করলে একটি অদ্ভুত উত্তর দেয় মোদি সরকার।

কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, এখনো পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোন হিসেব করা হয়নি। যা নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র শোরগোল। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, পশ্চিমবঙ্গ এবং বিহারের কৃষক আত্মহত্যার সংখ্যা শূন্য হলেও তা নিয়ে বিতর্ক থাকছে। কারণ সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী কিন্তু এই দুই রাজ্যে কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। বিতর্ক থাকলেও বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্র সরকারের দেওয়া এই তথ্য অবশ্যই রাজ্যের মমতা সরকারকে বেশ কিছুটা এগিয়ে রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!