এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনা আবহে বড়সড় আবিষ্কার আমেরিকার বিজ্ঞানীদের! প্রকাশ্যে এল ন্যাজাল টিকা, বাড়ছে আসার আলো

করোনা আবহে বড়সড় আবিষ্কার আমেরিকার বিজ্ঞানীদের! প্রকাশ্যে এল ন্যাজাল টিকা, বাড়ছে আসার আলো


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সারা পৃথিবী জুড়ে করোনা আজ মানুষের আতঙ্কের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনার হাত থেকে মুক্তি পেতে এই মুহূর্তে বিভিন্ন দেশ উঠে-পড়ে লেগেছে ভ্যাকসিন তৈরিতে। চেষ্টা চলছে করোনার হাত থেকে যেকোনো মূল্যে মুক্তি পাওয়ার। তবে জানা যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যেই করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার এর দিকে বেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে গেছে। আর সেদিকে নজর রেখে বলাই যায়, করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার হওয়া সময়ের অপেক্ষা। তবে রাশিয়া ইতিমধ্যেই করোনার প্রতিষেধক নিয়ে এসেছে জনগণের সামনে।

অন্যদিকে আমেরিকাও এবার বড়োসড়ো খবর জানাল ভ্যাকসিন আবিষ্কার এর ব্যাপারে। আমেরিকার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তাঁরা ভ্যাকসিন তৈরি করতে গিয়ে পেশীর বদলে নাক দিয়ে টিকার ডোজ ঢুকিয়ে দেখেছেন, রক্তে দ্রুত অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ভাইরাসের মোকাবিলায় রোগ প্রতিরোধ শক্তিও দ্রুত তৈরি হচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত মানুষের ওপর দিয়ে এ ধরনের কোনো পরীক্ষা হয়নি। পরীক্ষা হয়েছে ইঁদুরের ওপর। এ বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জানা গিয়েছে সেলস এন্ড মাইক্রো নামক একটি সায়েন্স জার্নালে।

তবে গবেষক মাইকেল এস ডায়মন্ড জানিয়েছেন, সর্দি কাশির ভাইরাস অ্যাডিনোভাইরাসকে ভেক্টর হিসেবে এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে। অ্যাডিনোভাইরাসের স্ট্রেন দুর্বল করে দিয়ে করোনাভাইরাস এর স্পাইক প্রোটিন মিশিয়ে ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট ডিজাইন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সেক্ষেত্রে করোনার স্ট্রেন পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় না হলেও যথেষ্ট দুর্বল। অন্যদিকে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই টিকা শরীরে ঢোকার আগে পরপর দুটি মিউটেশন করবে অর্থাৎ ভাইরাসের জিন এর গঠন বদলাবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে তাতে খারাপ কিছু হবেনা। কারণ করোনার যে স্ট্রেনকে অ্যাডেনোভাইরাসের সঙ্গে মেলানো হয়েছে সেটি মিউটেশন হলে একটি বিশেষ গঠন তৈরি হবে আর তা শরীরে ঢুকলে সক্রিয়ভাবে অ্যান্টিবডি তৈরি করবে। ইঁদুরের ওপর পরীক্ষামূলকভাবে এটি ব্যবহার করে দেখা গেছে তাতে প্রচণ্ড কাজ হচ্ছে। এমনকি কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি এখনো পর্যন্ত। শুধু তাই নয়, ইঁদুরদের সংক্রমণও একেবারে কমে যাওয়ার পথে। ইমিউন সিস্টেম রীতিমতো শক্তিশালী হয়ে গেছে।

কিন্তু যেটি সবথেকে প্রয়োজন করোনা নিষ্ক্রিয় হতে তা হল টি-কোষটির জেগে ওঠা। আর সেটি হচ্ছে কিনা তা এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। বিজ্ঞানীদের পক্ষ থেকে জানা গেছে, এই টিকার সেফটি ট্রায়াল পর্বে মানুষের ওপর পরীক্ষা করা হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এই ভ্যাকসিনের ডোজ যদি শরীরের বদলে নাক দিয়ে প্রবেশ করানো যায়, তাহলে অনেক বেশি প্রভাব পড়ছে শরীরে। নাক দিয়ে এই টিকা প্রয়োগ করা হলে দেখা যাচ্ছে, ফুসফুসে সরাসরি ভ্যাকসিনের প্রভাব পড়ছে। এমনকি শ্বাসযন্ত্রের কোনো সংক্রমণ থাকলে তাও কমে যাচ্ছে। শ্বাসকষ্টও কমে যাচ্ছে ধীরে ধীরে।

তবে এই ভ্যাকসিনটি এখনো পর্যন্ত প্রথম ধাপও পেরোয়নি। তবে দ্রুত এই ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করার দিকে ইঙ্গিত দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, সারাবিশ্ব এমনিতেই করোনার তাণ্ডবে হাহাকার করছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ করোনা সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুর পথে। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রতিষেধক বা ওষুধের প্রয়োজন হলেও তাড়াহুড়ো করলে তা হবে হিতে বিপরীত। সারা বিশ্ব অপেক্ষা করছে এই মারণ রোগের শেষের। আর তাই নতুন করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার জন্য অপেক্ষা করতে রাজি এখন সবাই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!