এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > করোনা আবহে বড়সড় ধামাল তৃণমূলের! ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিলেন ‘ফুডম্যান’, সাথে শয়ে শয়ে সমর্থক!

করোনা আবহে বড়সড় ধামাল তৃণমূলের! ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিলেন ‘ফুডম্যান’, সাথে শয়ে শয়ে সমর্থক!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট একুশের বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই রাজনৈতিক দলগুলির অন্দরে দেখা যাচ্ছে দলবদলের হিড়িক। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে নজর দিয়ে এবার তৎপর হয়ে উঠেছে বাংলার প্রতিটি রাজনৈতিক দল। প্রত্যেকেই নিজেদের দল গোছাতে ব্যস্ত বর্তমানে। তার সাথেই চলছে অন্যের ঘর ভাঙার খেলা এবং নিজেদের সাংগঠনিক জোর বাড়ানোর ব্যাপক তৎপরতা। অন্যদিকে এবার রাজ্যের শাসক দলে যোগ দিলেন বিখ্যাত সমাজকর্মী।

তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন আসানসোলের বিশিষ্ট সমাজসেবী চন্দ্রশেখর কুন্ডু। চন্দ্রশেখর কুন্ডুকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ফুডম্যান’ নামেই চেনেন রাজ্যের মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে দুই বর্ধমান সহ বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে চন্দ্রশেখর কুন্ডু সমাজসেবার কাজ করে থাকেন। ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে অন্ন তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি গরীব ও অসহায় শিশুদের জন্য তিনি স্কুল তৈরি করে দিয়েছেন। এছাড়াও তাঁর সাহায্যের হাত ধরে বহু যৌনকর্মী সহ বিভিন্ন প্রান্তিক পেশার মানুষজন উপকৃত হয়েছেন বলে জানা যায়।

এরকম একজন মানুষের তৃণমূলে যোগদান করার খবরে খুব স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল শিবিরে আনন্দের আবহ। আর এই খবরে আসানসোলের সাধারণ মানুষের মতে, স্থানীত তৃণমূলের ভালোই হবে এরকম একজন মানুষ দলে আসায়। শুক্রবার দুপুরে সমাজসেবী চন্দ্রশেখর কুন্ডু তপসিয়া তৃণমূল ভবনে এসে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ও তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর হাত থেকে দলীয় পতাকা গ্রহণ করেন এবং শপথ নেন দলের নামে। অন্যদিকে এদিন বাঁকুড়া জেলার প্রায় 550 জন কংগ্রেস নেতাকর্মী যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে বলে খবর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, বাঁকুড়া জেলার তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরা ও চেয়ারম্যান শুভাশীষ বটব্যালের নেতৃত্বে এই 550 জন কলকাতার তপসিয়া ভবনে এসে শাসকদলে যোগদান করেন এদিন। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাঁকুড়া, পুরুলিয়াসহ জঙ্গলমহলের তৃণমূলের সংগঠন যথেষ্ট মজবুত ছিল না এতদিন। তবে এত বৃহৎ আকারে তৃণমূলে যোগদানের কারণে সেই সংগঠন অনেকটাই মজবুত হল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। অন্যদিকে এই দলবদল এর পরিপ্রেক্ষিতে বাঁকুড়া জেলার কংগ্রেস শিবির থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এতদিন পর্যন্ত জঙ্গলমহলে সেভাবে রাজনৈতিক শক্তি দেখাতে পারেনি শাসক দল। কিন্তু এবার যেভাবে দলবদল হল, তাতে এলাকায় তৃণমূলের যে রাজনৈতিক শক্তি বেশ কিছুটা বৃদ্ধি পেল সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। মনে করা হচ্ছে, ধীরে ধীরে হলেও বাঁকুড়া,পুরুলিয়াসহ জঙ্গলমহলের মাটিতে শাসক দল বর্তমানে সংগঠন জোরদার করার কাজে নেমেছে। আপাতত 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের মসনদ দখল করবে কোন দল, তা নিয়েই এখন সরগরম বাংলার রাজনীতি।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!