এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা আবহে দিনরাত এক করে রেশন যুগিয়েও ৭ মাস ধরে মেলে নি কমিশন! বাংলায় ডিলারদের করুন অবস্থা

করোনা আবহে দিনরাত এক করে রেশন যুগিয়েও ৭ মাস ধরে মেলে নি কমিশন! বাংলায় ডিলারদের করুন অবস্থা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা আবহের শুরু থেকেই সাধারণ গরীব মানুষকে খাদ্যাভাবের দুর্দশার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বিনামূল্যে খাদ্য বন্টনের কথা ঘোষণা করে। একই সাথে পাল্লা দিয়ে রাজ্য সরকারও বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। দীর্ঘদিন ধরে সেভাবেই বিনামূল্যে রেশন বিলি চলছিল কেন্দ্র ও রাজ্যের তরফ থেকে। কিন্তু এবার সমস্যা হয়েছে অন্যত্র। করোনা আবহে গত এপ্রিল থেকেই বিনামূল্যে রেশন বিলি করেও গত 7 মাস ধরে রেশন ডিলাররা কমিশন পাচ্ছেন না। এই নিয়ে এবার ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন তাঁরা। মূলত প্রতিমাসে বিলিবণ্টন করার পর ডিলারদের কুইন্টাল প্রতি 70 টাকা কমিশন পাওয়ার কথা।

চাল, গম, ডাল, ছোলা সবকিছুর ক্ষেত্রেই একই নিয়ম চলবে। কিন্তু গত সাত মাসে বিনামূল্যে শস্য বিলি করেও এক কানাকড়িও পায়নি বেশকিছু রেশন ডিলার। এই নিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে রেশন ডিলারদের পক্ষ একটি একটি চিঠি পাঠানো হয় বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে রেশন ডিলাররা এই ঘটনার জন্য একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংককে দায়ী করেছেন। জানা গিয়েছে,খাদ্য দপ্তর কমিশন বাবদ নির্দিষ্ট টাকা ব্যাংকে যথাসময়ে জমা করে দিয়েছে। ব্যাংকও টাকা তুলে নিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ডিলাররা কিন্তু তাঁদের টাকা পায়নি। এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের রেশন ডিলার সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, তাঁরা খাদ্য দপ্তর থেকে খবর পেয়েছেন, কমিশনের টাকা ঠিক সময়ে ব্যাংকে জমা হয়েছে।

কিন্তু ব্যাংক সেই টাকা দিয়ে সুদ খাটাচ্ছে। আপাতত রেশন ডিলারদের সংগঠন অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস অফ ডিলার্স ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ অভিযোগ নথিবদ্ধ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে বলে খবর। এই মুহূর্তে রাজ্যে রেশন ডিলারের সংখ্যা 20 হাজার 780। তবে তাঁদের মধ্যে যে কেউ টাকা পাননি, তা নয়। সংগঠনের কর্তারা জানাচ্ছেন, মাত্র 25% ডিলার টাকা পেয়েছেন। বাকিরা কিন্তু টাকা পায়নি। অন্যদিকে জানা গেছে, আগামী নভেম্বর মাসে কেন্দ্রের তরফ থেকে বিনামূল্যে রোশন আর পাওয়া যাবে না। যদিও কেন্দ্র তাঁদের অভিযোগ জানিয়েছে রাজ্যের বিরুদ্ধে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, গত সেপ্টেম্বর মাসে খাদ্য বিলির হিসাব রাজ্যকে আগস্টের মধ্যে আগেই সেরে রাখার কথা জানানো হয়েছিল কেন্দ্রের তরফ থেকে। কিন্তু বারবার বলার পরেও কেন্দ্রের কথায় গুরুত্ব দেয়নি রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের নির্দিষ্ট পোর্টালের বদলে রাজ্য সরকার হিসাব দাখিল করে সেপ্টেম্বরের শেষে ই পস মেশিনে। আর তাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, আগামী নভেম্বরের বিনামূল্যের বরাদ্দ শষ্য তাঁরা আর পাঠাবেন না। এর ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগামী মাসে প্রায় 952 মেট্রিক টন শস্যের ঘাটতি হবে রাজ্যে। যার জেরে বিভিন্ন যোজনা যেগুলো বিনামূল্যে রেশনের আওতায় ছিল, সেগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

অন্যদিকে রেশন ডিলারদের কমিশন না পাওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিরোধী শিবিরগুলি ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছে। তাদের মতে দুর্নীতির কারণেই এই পরিস্থিতি এসেছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, টাকা সঠিক সময় ব্যাংকে ঢুকে গিয়েছে। তাহলে রেশন ডিলারদের কমিশন পৌঁছায়নি কেন তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন থাকছেই। আপাতত রেশন ডিলারদের অভিযোগ পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী অথবা খাদ্যমন্ত্রী কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, সে দিকে কিন্তু নজর রাখতে চলেছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!