করোনা আবহে এবার সুখবর! দেশের ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টর ঘুরে দাঁড়াচ্ছে জাতীয় বিশেষ খবর October 2, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা মহামারিকে আটকাতে দেশজুড়ে 68 দিন ছিল লকডাউন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সংক্রমণ সেভাবে আটকাতে না পারলেও দেশের অর্থনীতি কিন্তু রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা কিছুদিন আগেই দেশের অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে ব্যাপক মাত্রায় জিডিপির পতন হয়েছে বলে দেখা গেছে। কিন্তু তার মধ্যেই আবার নতুন খবর আসছে উৎপাদনের। মানুষের মনে জাগছে আশা, বাড়ছে চাহিদা। করোনা আবহে লকডাউনের মধ্যে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছে। উৎপাদন থমকে গিয়েছিল। কিন্তু নিউ নর্মাল পরিস্থিতিতে আবার ধীরে ধীরে দেশের ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরগুলি উঠে দাঁড়াচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার এক বেসরকারি সংস্থায় প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, গত সাড়ে আট বছরের মধ্যে সবথেকে বেশি সচল হয়ে উঠেছে বর্তমানে ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টর। গত আগস্টে ভারতের ম্যানুফ্যাকচারিং পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স আই এইচ এস মারকিত ছিল 52 র ঘরে।সেপ্টেম্বরে তা উঠেছে 56.8 পর্যন্ত। মনে করা হচ্ছে, এই জুন মাসে লকডাউন শিথিল হওয়ার কারণেই ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরে অগ্রগতি এসেছে। এইচ এস মারকিতের অর্থনীতিবিদ পলিয়ানা ডি লিমা জানিয়েছেন, ভারতের ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টর বর্তমানে সঠিক দিশা মেনে এগিয়ে চলেছে। সেপ্টেম্বরের পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্সে বেশ কিছু ইতিবাচক দিক দেখা গেছে। পরপর দু’মাস ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে সূচক। বাজারে ধীরে ধীরে আবার চাহিদা ফিরে আসছে। তবে দেখা যাচ্ছে, ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টর ঊর্ধ্বমুখী হলেও দেশে কিন্তু সেভাবে কর্মসংস্থান হচ্ছে না। সে দিক থেকে কিন্তু ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টর পিছিয়ে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। লকডাউনের সময় থেকেই কর্মী ছাঁটাই শুরু হয়েছে বিভিন্ন কোম্পানিতে। সামগ্রিকভাবে করোনার কারণে ভারতীয় অর্থনীতি বেশ কয়েক কদম পিছিয়ে পড়েছে, যা এখনো সামাল দেওয়া যায়নি। সেপ্টেম্বরের শুরুতেই জিডিপির পতন দেখে নিয়েছে দেশ। একই সাথে ফিচ রেটিং জানিয়েছে, 2020-21 সালের আর্থিক বছরে সামগ্রিকভাবে ভারতের অর্থনীতি সংকুচিত হবে 10.5%। গত মার্চ মাসে দেশজুড়ে শুরু হয় লকডাউন আর তখন থেকেই অর্থনীতির পতন আরো দ্রুতহারে হতে শুরু করে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে আশা করা যাচ্ছে, 2020 সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে অর্থাৎ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে জিডিপি ঘুরে দাঁড়াতে পারে। তবে ভারতীয় অর্থনীতির স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে সময় লাগবে এখনো অনেক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে, ভারতের করোনা সংক্রমণ যেভাবে বেড়ে চলেছে দিন দিন, তাতে মনে করা হচ্ছে আগামী দিনে বিশ্বে করোনার হটস্পট হয়ে উঠতে চলেছে এই দেশ। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবে চলতি আর্থিক বছরে এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলির মধ্যে ভারতের জিডিপি সবথেকে বেশি হারে কমতে চলেছে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা। ভারতে বর্তমানে রোজ আশি হাজারের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। এই অতিমহামারী থেকে বেরিয়ে আসা যে খুব একটা সহজ হবে না, সে কথা এখন থেকেই বলতে শুরু করেছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও আদপে তা কতটা কাজ করেছে তা নিয়ে থাকছে বিতর্ক। অর্থনীতিবিদদের মধ্যে অনেকেই মনে করছেন যেভাবে জিডিপি সংকোচন হচ্ছে, তা যদি জারি থাকে তাহলে কিন্তু সরকারিভাবে অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে পড়তে চলেছে দেশ। আর সেই সমস্যা থেকে বেরোনোর জন্য প্রয়োজন বাজারে ক্রেতার চাহিদা। তবে ম্যানুফ্যাকচারিং রেট বাড়ার সাথে সাথে পরিস্থিতি কিছুটা হয়তো বদল আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে আনুষঙ্গিক খরচ করতে বিশেষ কেউ সাহসী হতে পারছেন না বলে দাবি করছেন অনেকেই। ফলে অবধারিতভাবে যোগান কমছে। সুতরাং চাহিদা এবং যোগানের মধ্যে আনুপাতিক হার ঠিক না থাকলে পরিস্থিতি কিন্তু ঠিক হবেনা। সব মিলিয়ে দেশের সামনে এই মুহূর্তে একটি কঠিন অবস্থা এসেছে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -