এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনা আবহে গানে গানেই মাকে স্বাগত জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

করোনা আবহে গানে গানেই মাকে স্বাগত জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- আগমনী সুর বেজে গেছে গতকাল। আকাশ বাতাস জানান দিচ্ছে, বাংলায় মায়ের আগমনের সময় হয়ে গেছে। যদিও এবছর করোনার সঙ্গে দোসর হয়েছে মলমাস। তবুও মা আসছে এই ভাবনাটাই যেন মন খুশি করে দেয়। করোনা কারণে এবছর পরিস্থিতি অনেকটাই অন্যরকম। কেনাকাটা থেকে শুরু করে প্যান্ডেল, পুজোর আয়োজন সমস্ত কিছুই প্রতিবারের থেকে একটু অন্যরকম। তবে আকাশ বাতাস প্রকৃতি কিন্তু তার নবরূপে জানান দিয়েছে মায়ের আসার সময় হয়ে গেছে।

যদিও অন্যান্য বছর পুজো হয় আশ্বিন মাসে। তবে এবার মলমাস পড়ায় প্রায় একমাস পিছিয়ে গিয়ে পুজো। তাই এবার কার্তিক মাসে মাকে দেখতে একটু বেশি অপেক্ষা করতে হবে মানুষকে। মহালয়া থেকেই সাধারণত বাঙালির পূজো পার্বণ শুরু হয়ে যায়। তাই শুভেচ্ছার আদান-প্রদানও শুরু হয় এই সময় থেকেই। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে সমস্ত কিছুই হচ্ছে ভার্চুয়ালি। তাই মহালয়ার শুভক্ষণে অনলাইনেই নিজেদের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন সেলিব্রিটি থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। তবে এখানে অভিনব পন্থায় সকলকে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বাঙালির কাছে মহালয়া মানে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের গলার স্বর, আর তার সঙ্গে “বাজলো তোমার আলোর বেণু” এই গানের সুর। এই গানের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে এক অদ্ভুত নস্টালজিয়া। যা মানুষকে মহালয়ার শুভ ক্ষণে দেবী আগমনের কথাই বুঝিয়ে দেয়। সম্প্রতি সেই গানেরই একটি ভিডিও করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পোস্ট করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে চমক হচ্ছে, গানটি অন্য কারো কন্ঠে নয়, নিজের কন্ঠে গান গেয়েই তিনি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আপামর বাঙালিকে। আর সেইসঙ্গে আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায় গানের ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।

রাজনীতির আঙ্গিনায় অবাধ বিচরণ এই জননেত্রীর। তাঁর অনেক অনন্য গুণও মানুষকে মোহিত করে। সেখানে মানবিক গুণ ছাড়াও তাঁর কবিতা লেখা বা ছবি আঁকা, নিজের রাজনৈতিক কাজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে। সারাদিনের কর্মব্যস্ততার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের আপামর জনসাধারণের সুখ-দুঃখ সুবিধা-অসুবিধা সবকিছু সামলানোর পরেও নিজের পছন্দের ভালোলাগাগুলিকে তিনি কিন্তু সহজেই কাজের ছন্দে মিলিয়ে চলেন। আর তাই আবারো নিজের এমনই এক সুন্দর ভাবনা নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে তিনি ধরা দিলেন, সঙ্গে বাংলার মানুষদের জন্য ছিল তাঁর শুভেচ্ছাবার্তা। যাতে তাঁকে বলতে দেখা গেছে, ‘মা আসছেন। তাই শারদীয়ার শুভক্ষণে জাগছে আলোর ভুবন। সেইসঙ্গে মা দুর্গার আগমনে মুছে সমস্ত গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, এমনটাই চেয়েছেন তিনি। সাথে ব্যাধির প্রকোপকে জয় করে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে হওয়া ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির বাধা টপকে বাংলা উন্নতির শিখরে এগিয়ে যাক, এমনটাই কামনা তাঁর। সর্বোপরি বাংলার সমস্ত মানুষের জন্য মঙ্গল কামনা করে মহালয়ার পুণ্য তিথিতে মা দুর্গার চরণে প্রণাম জানিয়ে তিনি শারদ অর্ঘ্য নিবেদন করেছেন বলেই জানিয়েছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!