এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা আবহে জীবনদায়ী ইনজেকশন চুরির বিস্ফোরক অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে

করোনা আবহে জীবনদায়ী ইনজেকশন চুরির বিস্ফোরক অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যজুড়ে তীব্র করোনা সংক্রমণে যখন হাসপাতালে বেডের অভাব শুরু হয়েছে, ওষুধপত্রের অভাব, ভ্যাকসিনের অভাব যখন করোনার বিপদকে বহুমাত্রায় বাড়িয়ে দিয়েছে, সেই আবহে দাঁড়িয়ে এবার করোনার জীবনদায়ী ইনজেকশন চুরির অভিযোগ উঠে এল কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে, জনৈক রাজনৈতিক প্রভাবশালীর প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ইঞ্জেকশন হাসপাতাল থেকে চুরি করেছেন তিনি। এ বিষয়ে একটি অডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে পড়েছে।

করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনজেকশন হলো টোসিলিজুমাব ইনজেকশন। টোসিলিজুমাব ইনজেকশন সাধারণত বাতের ব্যথায় ব্যবহার করা হয়, কিন্তু আশঙ্কাজনক করোনা রোগীদের এই ইনজেকশন দিয়ে যথেষ্ট সুফল মিলেছে। এরপর থেকে করোনা চিকিৎসায় এই ইনজেকশন এর ব্যবহার ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক চিকিৎসক নিজের রাজনৈতিক প্রভাবকে ব্যবহার করে কর্তব্যরত এক নার্সকে মিথ্যে প্রেসক্রিশন দেখিয়ে ২৬ টি টোসিলিজুমাব ইনজেকশন, যার মূল্য প্রায় ১০ লক্ষ টাকা, চুরি করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ বিষয়ে একটি অডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। যদিও এই অডিও ক্লিপটির সত্যতা যাচাই করে দেখা প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে, বিষয়টি সামনে আসতেই তীব্র শোরগোল পড়ে গেছে হাসপাতালে। হাসপাতাল কতৃপক্ষর বেড়েছে অস্বস্তি। এই জীবনদায়ী টোসিলিজুমাব কিভাবে সরকারি হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নিলেন তিনি? তার তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। এই অভিযোগ সামনে আসার পর উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখা হবে। এর বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

খাস কলকাতার বুকে সরকারি হাসপাতাল থেকে কিভাবে গায়েব হল ১০ লক্ষ টাকা দামের জীবনদায়ী টোসিলিজুমাব? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। জানা গেছে মিথ্যে প্রেসক্রিপশন লিখে কর্তব্যরত ইনচার্জ নার্সকে জমা দিয়ে কয়েকবারের চেষ্টায় এই ১০ লক্ষ টাকার ইনজেকশন চুরি করেছেন এই চিকিৎসক। প্রথমে বোঝা না গেলেও পরে জানা গেছে সমস্ত প্রেসক্রিপশন ছিল ভুয়ো।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চিকিৎসককে প্রশ্ন করা হলে, তিনি নিরুত্তর। গতকাল কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এই ঘটনা প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে। খোদ মহানগরীর বুকে এই ঘটনা কিভাবে ঘটল? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। এ বিষয়ে দ্রুত তদন্তের দাবি উঠতে শুরু করেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!