এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনা আবহে কেন্দ্রের আয় তলানিতে! আগামী বাজেটে বিপুল পরিমানে বাড়তে চলেছে আয়কর? জল্পনা চরমে

করোনা আবহে কেন্দ্রের আয় তলানিতে! আগামী বাজেটে বিপুল পরিমানে বাড়তে চলেছে আয়কর? জল্পনা চরমে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা আবহে ভারতের অর্থনীতি পুরোপুরি যে খাদের ধারে পৌঁছে গেছে, সে কথা এই মুহূর্তে কারোরই অজানা নেই। পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং মোদি সরকার যারপরনাই চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু তাতেও খুব একটা সুরাহা হচ্ছেনা। এই অবস্থায় বাজারে লেনদেন শুরু করাই প্রধান লক্ষ্য সরকারের। পাশাপাশি এবার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এবং কেন্দ্রের আয় বাড়াতে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। আর সেক্ষেত্রে আগামী বাজেটে বিপুল পরিমান আয়কর বাড়তে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

গত 16 অক্টোবর আগামী বছরের বাজেট নিয়ে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডিপার্টমেন্ট অফ ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, আবাসন, ইস্পাত ও বিদ্যুৎ মন্ত্রকের আধিকারিকরা। যদিও প্রতিবছর এভাবেই বাজেটের আগে বৈঠক হয়। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের রাজস্ব আদায় তলানিতে ঠেকেছে। তাই আগামী বাজেটে আয়ের সংস্থান করতে এই বাজেট বৈঠক অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে।

আগামীদিনে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বিভিন্ন মন্ত্রক, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, বণিকসভা, শিল্পমহলকে নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করবেন বলে খবর। সরকারের প্রাথমিক পর্যায়ের বৈঠক আগামী 12 ই নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। বৈঠকে সবথেকে বেশি আলোচিত হয়েছে দেশের চরম অর্থসংকট কিভাবে কমানো যেতে পারে তা নিয়ে। এই বৈঠক থেকেই আয়কর বাড়ানোর সম্ভাবনা সামনে এসেছে। যদিও 2020-21 সালের বাজেটে দেশের আয় বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সে কথা মাথায় রেখেই 2021-22 সালের অর্থবর্ষে আয়কর কাঠামোয় বিপুল বদল আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী বছরের এপ্রিল থেকে তাহলে বেড়ে যাবে আয়কর। তবে আয়কর বাড়ানো নিয়ে দুটি বিকল্প প্রস্তাব আলোচনায় স্থান পেয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। প্রথমটি মাঝারি ও উচ্চ আয়ের ক্ষেত্রে বেশি আয়কর ধার্য। ছাড় পেতে পারেন, তুলনামূলকভাবে যারা কম বার্ষিক আয় করেন তাঁরা। এবং দ্বিতীয় প্রস্তাব, কোন বিভাজন না করে সামগ্রিকভাবে আয়কর বাড়ানো। তবে লগ্নী বাবদ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাড় কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কী হবে, তা নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে প্রাক-বাজেট বৈঠকে প্রায় এক মাস ধরে এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা চলবে। 2020-21 এর বাজেটে নতুন একটি আয়কর কাঠামো ঘোষণা হয়েছিল। পুরনো এবং নতুন দুটি নিয়মে আয়কর প্রদান চলছে। নতুন কাঠামোয় আয়করের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় অর্থমন্ত্রক। তবে শর্ত ছিল, কোন ছাড় নেওয়া যাবেনা। অর্থাৎ 80 সি, 80 ডি, হাউজিং রেন্ট, লিভ ট্রাভেল অ্যালাওয়েন্স ইত্যাদি এবং 5 লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কর মুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু এবার করোনা এবং লকডাউনের জেরে বিপুল মাত্রায় রাজস্ব কমে গেছে দেশের সরকারের। আর তাই দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে বিলগ্নীকরণ এবং কর বাবদ আয় এই মুহূর্তে অর্থনীতি চাঙ্গা করার অন্যতম অস্ত্র বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, লেনদেন বাড়লে যথারীতি জিএসটি বাড়বে। এবং জিএসটি আদায় দেশের অর্থভাণ্ডার পূরণ হওয়ার অন্যতম রাস্তা। তবে এবার আয়কর বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকার অর্থভাণ্ডার পূরণের দিকে উঠে পড়ে লাগছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে আগামী বাজেটে আয়কর বাড়ালে তা কিন্তু চাপ পড়বে দেশের বৃহদাংশ জনগণের ওপর এবং তা দেশের সরকারের প্রতি বিক্ষুব্ধ মনোভাব তৈরী করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে আদৌ কিভাবে দেশের  অর্থনীতিকে আবার দাঁড় করানো যাবে, এখন সে দিকেই নজর রাখছেন দেশের অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!