এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা আবহে মমতার মুকুটে নতুন পালক! কলকাতার রাস্তাই গোটা দেশে সবথেকে নিরাপদ, জানিয়ে দিল তথ্য!

করোনা আবহে মমতার মুকুটে নতুন পালক! কলকাতার রাস্তাই গোটা দেশে সবথেকে নিরাপদ, জানিয়ে দিল তথ্য!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট– খবরের কাগজ খুললেই প্রতিনিয়ত সামনে আসে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের ঘটনা। তবে তার বেশিরভাগই যে রাতের রাজপথে ঘটে যায় সে কথা বলাই বাহুল্য। তাই বর্তমানে যে কোন শহরের হাই ওয়ে হোক কি শুনশান রাস্তা, যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় ওতপেতে থাকতে পারে বিপদ। কি জানি আপনার জীবনে কোন দুর্দিন ডেকে আনবে সে। তাই রাতের রাস্তায় বেরোনোর ক্ষেত্রে আজকাল মানুষ একটু ভেবেই সিদ্ধান্ত নেন। সম্প্রতি ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো এনসিআরবি ভারতের মোট ৫৩ টি শহরের মধ্যে এই নিয়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। আর যাতে কলকাতার জন্য উঠে এসেছে একটি চমৎকার তথ্য।

যেখানে হিসাব বলছে দিল্লীতে ১ লক্ষ মানুষের মধ্যে পথ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ২৭.৭ জন এবং মুম্বইয়ে সংখ্যাটা আরও বেড়ে গিয়ে ৫০.২ জন। সেখানে অন্যান্য শহরের থেকে কলকাতার রাস্তা বেশ অনেকটাই নিরাপদ। এইসব শহরের মধ্যে জনসংখ্যার দিক থেকে কলকাতা তৃতীয় হলেও, প্রতি ১ লক্ষ মানুষের মধ্যে ২.৩ জনের পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। তবে ২০১৮ সালে কলকাতার রাস্তার যেখানে পথ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ৭৩৪ জন, সেখানে ২০১৯ সালে এই সংখ্যা হয়েছে ২৬৭ জন। যা পুরোনো সংখ্যার থেকে প্রায় ৫৬ শতাংশ কম। তবে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর দুর্ঘটনার সংখ্যা ৭১ জন বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর মতে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর বিচারে কলকাতা উদ্বেগের জায়গায় থাকলেও, দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা কিন্তু অন্যান্য শহরের তুলনায় সবথেকে কম। যা অনেকটা স্বস্তির কারণ। জানা গেছে ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী দেশের মধ্যে মোট ৫৩ টি দেশের মধ্যে কলকাতায় দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা সবথেকে কম। অন্যান্য দেশে যেখানে দুর্ঘটনায় অনেকটাই লোক মারা যায়, সেখানে কলকাতায় সেই পথদুর্ঘটনার প্রায় ০.৫ শতাংশ ঘটে, যা তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম।

তবে এক্ষেত্রে কাজ দিচ্ছে কি? জানা গেছে, এক্ষেত্রে সেভ লাইভ সেফ ড্রাইভ ক্যাম্পেনই কাজে দিচ্ছে।লালবাজারের তরফে জানা গিয়েছে, তিন বছর আছে নেওয়া এই উদ্যোগ সেভ লাইভ সেফ ড্রাইভ ক্যাম্পেন কলকাতার মানুষের মধ্যে কিন্তু এই কয়েক বছরের মধ্যেই যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে। এর সঙ্গে রাজ্যের ফ্লাইওভারগুলিতেও স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা এবং স্পিড গান ব্যবস্থা বসানো আছে। ফলে সেটাও অনেকটাই সুবিধে দিচ্ছে। এছাড়া কোনরকম বেপরোয়া ড্রাইভিং-এর খবর পেলেই সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে। তাই বেশ ভালোই লাগে বলতে যে, এভাবেই সুন্দর থেকো সুন্দরী তিলোত্তমা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!