এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > করোনা আবহে মমতার মুখের হাসি চওড়া করে বড়সড় সুখবর দিল কেন্দ্র! জেনে নিন বিস্তারিত ভাবে!

করোনা আবহে মমতার মুখের হাসি চওড়া করে বড়সড় সুখবর দিল কেন্দ্র! জেনে নিন বিস্তারিত ভাবে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গের করোনার সংক্রমণ নিয়ে অনেকের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়লেও পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয় বলেই মনে করছে কেন্দ্র সরকার। এ কারণেই পশ্চিমবঙ্গে সম্প্রতি কোন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার।

প্রসঙ্গত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের জনৈক উচ্চপদস্থ আধিকারিক নিজের নাম অপ্রকাশিত রেখেই জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে দুদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে আলোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় উঠে এসেছে পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক করোনা সংক্রমণের তুলনায় দৈনিক করোনা মুক্ত হবার সংখ্যা বেশি।

পশ্চিমবঙ্গের করোনার সামগ্রিক পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে কেন্দ্র বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে কোন প্রতিনিধি দল পাঠাতে ইচ্ছুক নয়। ইতিপূর্বে পশ্চিমবঙ্গে যখন করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনক ছিল, সে সময় পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্র প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিল। পরবর্তীকালে যদি প্রয়োজন হয় তবে আবার প্রতিনিধিদল পশ্চিমবঙ্গে পাঠাতে পারে কেন্দ্র। কিন্তু সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে প্রতিনিধি দল পাঠানোর প্রয়োজন নেই বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

প্রসঙ্গত বাংলায় দৈনিক করোনা সংক্রমণ তিন হাজারের বেশি হলেও ‘পজিটিভিটি রেট’ কিন্তু এখানে বাড়েনি বরং তা নিম্নগামী। সেইসঙ্গে এ রাজ্যে দৈনিক করোনা টেস্টের সংখ্যাও সম্প্রতি ৫০ হাজারের কাছাকাছি চলে এসেছে। অন্যদিকে করোনার সংক্রমণ, করোনায় মৃত্যু কোন ক্ষেত্রেই দেশের প্রথম পাঁচটি সর্বাধিক করোনা আক্রান্ত রাজ্যের মধ্য পশ্চিমবঙ্গ নেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত গতকাল সোমবার পশ্চিমবঙ্গে ছিল কড়া লকডাউন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে আনলক ৪ এর নির্দেশিকাতে লকডাউন বিষয়ে যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল, সেখানে বলা হয়েছিল রাজ্যের কোথাও লকডাউন জারি করতে গেলে কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশকিছু এই বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল। অভিযোগ ছিল কেন্দ্র সরকারের এই নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার পরিপন্থী। তবে এ বিষয়ে কেন্দ্র রাজ্যগুলির দাবিকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি।

লকডাউন প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত কোন কনটেইনমেন্ট জোন এর জন্য লকডাউন ঘোষণার ব্যাপারে রাজ্যগুলিকে আগেই ছাড় দেওয়া হয়েছে। রাজ্যগুলি যদি মনে করে যে, কোন স্থানে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই সেখানে লকডাউন করা জরুরি, তাহলে সেই স্থানকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে হিসেবে চিহ্নিত করে সেখানে লকডাউন করতেই পারে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন যে, আনলক ৪ এর নির্দেশিকা নিয়ে বাংলার তরফ থেকে কোন লিখিত অভিযোগ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাছে এখনো পর্যন্ত জমা পড়েনি। এ বিষয়ে যদি আপত্তি থাকতো রাজ্যের তবে এ বিষয়ে লিখিত পত্র দেবার কথা রাজ্যের। কিন্তু তা হয়নি।

অন্যদিকে, রাজ্যগুলিকে বিনামূল্যে করোনা টেস্টিং কিট সরবরাহ বন্ধের বিষয়ে উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গকেই নয়, দেশের সমস্ত রাজ্যকেই বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার কিট সরবরাহ বন্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর এটা পূর্বেই কেন্দ্র চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্যগুলিকে। কেন্দ্রের তরফ থেকে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমনের প্রথম দিকে করোনা টেস্টিং কিট বাজারে অপ্রতুল ছিল। এ কারণেই রাজ্যগুলিকে কেন্দ্র বিনামূল্যে তা সরবরাহ করেছিল। কিন্তু বর্তমানে বাজারের যথেষ্ট পরিমানে এসেছে করোনা কিট । সেইসঙ্গে কেন্দ্র করোণা মোকাবিলার জন্য রাজ্যগুলিকে অর্থও দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে পাওয়া সেই অর্থ দিয়েই রাজ্যগুলি অনায়াসে করোনা টেস্টিং কিট বাইরের থেকে কিনতে পারবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!