এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা আবহে মারাত্মক আকার নিচ্ছে এই রোগ! ৫০% রোগীকেই পাঠাতে হচ্ছে ICU-তে! বাড়ছে উৎকন্ঠা

করোনা আবহে মারাত্মক আকার নিচ্ছে এই রোগ! ৫০% রোগীকেই পাঠাতে হচ্ছে ICU-তে! বাড়ছে উৎকন্ঠা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে একটি বহুল প্রচলিত প্রবাদ কে কিছুটা পাল্টে বলাই যায়, একা করোনায় রক্ষে নেই, ডেঙ্গু দোসর। এই মুহূর্তে রাজ্যজুড়ে করোনা পরিস্থিতি চরমে। অন্যদিকে রাজ্যে গুটি গুটি পায়ে হানা দেওয়া শুরু করেছে ডেঙ্গু। রাজ্যজুড়ে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পাশাপাশি বরাবরের মতন যদি এবার ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত দেখা যায়, তাহলে রাজ্যজুড়ে আর দুর্দশার শেষ থাকবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত প্রায় চল্লিশজন শিশু ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি হয়েছিল ইন্সটিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে।

সাধারণ মানুষের মনে করোনা নিয়ে পরিস্থিতি এতটাই আতঙ্কের হয়ে আছে যে জ্বর হলেও তারা কোনো রকম টেস্ট করাচ্ছেন না। এ প্রসঙ্গে খোঁজখবর নিতে ধরা পড়েছে আরো একটি মর্মান্তিক ছবি। অভিভাবকরা জানাচ্ছেন শিশুদের জ্বর হওয়ার পরেও টেস্ট করাননি কারণ সামাজিক অস্পৃশ্যতার প্রবল কারণে। আর এই মানসিকতা যে কতটা ভয়ঙ্কর সে ব্যাপারে ইঙ্গিত দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এখনও পর্যন্ত প্রায় কুড়িজন শিশুকেই ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রেখে চিকিৎসা করতে হয়েছে।

অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে রক্ত পরীক্ষার পর করোনা নয়, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে রোগী। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে যাচ্ছে এবং প্লেটলেটের সংখ্যা যথারীতি কুড়ি হাজারের নিচে নেমে যাচ্ছে। এই অবস্থায় রোগী বাঁচানো যে রীতিমতো দুষ্কর তা স্পষ্ট করে দিচ্ছেন চিকিৎসরা। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, ডেঙ্গু তার চরিত্র কিছুটা বদলেছে। এখন ডেঙ্গু হলে উপসর্গ হিসেবে দেখা যাচ্ছে, চোখ নাক ও ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ, বমি, পেটব্যথা, খাদ্যনালী, মূত্রনালীসহ বিভিন্ন জায়গায় রক্তক্ষরণ এর উপসর্গ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জ্বর, মাথা ব্যাথার উপসর্গ এখন অপেক্ষাকৃত কম দেখা মিলছে। সাধারণত প্রতিবছর সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যে ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত লক্ষণীয় হয়। গত বছর নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে 27 জনের মৃত্যু হয়েছিল ডেঙ্গুতে। এবছরে অবশ্য এখনও পর্যন্ত মাত্র একজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আর তাই এবার চিকিৎসকরা নির্দেশ দিয়েছেন, জ্বর হলে করোনার আগেই ডেঙ্গু টেস্ট করার। চিকিৎসকদের আতঙ্ক অবশ্য অন্য জায়গায়। করোনার সাথে সাথে যদি ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, শুধু কলকাতা পুরসভাই নয়, হাওড়া গ্রামীণ এবং হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকা থেকেও ডেঙ্গু রোগীর খোঁজ মিলছে। গত বছরের রিপোর্ট অনুযায়ী কলকাতা পুরসভায় পর্ণশ্রী, পিকনিক গার্ডেন এবং তিলজলায় সবথেকে বেশি ডেঙ্গু রোগীর সন্ধান মিলেছিল। কলকাতা পৌরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এবছর ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আগে থেকেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু নাম শুনলেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মশার কামড়ে এভাবে যে মৃত্যু ঘটতে পারে তা নিয়ে কোনো ধারণাই ছিলনা কয়েক দশক আগে।

বছরখানেক ধরেই ডেঙ্গু আতঙ্ক মাত্রাছাড়া আকার ধারণ করেছে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই চিকিৎসকরা সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে সঠিক সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলছেন। চিকিৎসকরা দাবী করছেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত মানেই যে সে মৃত্যুর মুখোমুখি হবে, এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই। বরং সঠিক সময়ে রোগীকে রক্তপরীক্ষা করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে বা ব্যবস্থা নিলে মৃত্যু আটকানো যাবে বলে জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!