এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > করোনা আবহে প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে মানুষের অভাব-অভিযোগ জানতে প্রশাসনকে আরও সক্রিয় করলেন মমতা

করোনা আবহে প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে মানুষের অভাব-অভিযোগ জানতে প্রশাসনকে আরও সক্রিয় করলেন মমতা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচন প্রায় দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে রাজ্যের। কিন্তু নির্বাচনের প্রচারে শাসক দল কিংবা বিরোধীদল কেউই করোনা বিধি মেনে এবছর পুরোপুরি তাঁদের প্রচার সারতে পারছেনা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর তাই এবার স্থানীয় প্রশাসনকেই এগিয়ে আসতে বলা হলো জনতার অভাব অভিযোগ শোনার জন্য। অন্যদিকে, জঙ্গলমহল থেকে লোকসভা নির্বাচনের পর কর্তৃত্ব হারিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। তাই একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে জঙ্গলমহলের দিকে বিশেষ নজর দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা আবহে জঙ্গলমহলের জেলাশাসকের অফিসের সাপ্তাহিক জনতার দরবার বর্তমানে বন্ধ।

তাই এবার জঙ্গলমহলের জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনতে বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শনে বের হলেন। রবিবার তিনি রানিবাঁধের রাওতোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে যান বলে খবর। জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদের সঙ্গে ছিলেন এদিন জেলা পরিষদের সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, স্থানীয় বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডি প্রমুখ। প্রশাসনকে সামনে পেয়ে গ্রামবাসীরা তাঁদের বিভিন্ন অভাব-অভিযোগ তুলে ধরেছে বলে জানা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ জানিয়েছেন, মানুষের অভাব অভিযোগ করোনা আবহে শোনার জন্য বিভিন্ন গ্রামে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গ্রামের মানুষের সমস্যার কথা যেমন শোনা হচ্ছে ঠিক সেভাবেই তাঁরা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গ্রামবাসীদের সমস্যা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমাধান করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার জেলাশাসক সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা ও জনপ্রতিনিধিরা প্রথমে রানিবাঁধের তালবেড়িয়া জলাধার পরিদর্শন করেন। এরপর তাঁরা পর্যায়ক্রমে তালবেড়িয়া, রাওতোড়া, চুরকু, ডুবুখানা, খাট্টাম ও সুতান গ্রাম পরিদর্শনে যান। প্রশাসনকে সামনে পেয়ে চুরকু গ্রামের বাসিন্দারা বেহাল রাস্তা, পানীয় জলের সমস্যা এবং সেচের জলের অভাবের কথা তুলে ধরেন। গ্রামের বাসিন্দা সরস্বতী বাস্কে জেলাশাসককে সামনে পেয়ে জানান, তিনি এখনো পর্যন্ত যেমন বার্ধক্য ভাতা পান না যেমন, সেরকমই তাঁর ছেলে প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও শংসাপত্র পায়নি, ফলে প্রতিবন্ধী ভাতাও পাচ্ছেনা সে।

জেলা শাসকের কাছে গ্রামবাসীরা আরো জানিয়েছে, পানীয় জলের জন্য দীর্ঘদিন হল লাইনের কাজ শেষ হয়েছে। তা সত্ত্বেও তাঁরা লাইনের জল পাচ্ছেন না। মূলত জানা গিয়েছে, প্রতিটি গ্রামের বাসিন্দারা কমবেশি নিজেদের সমস্যার কথা জেলাশাসকের সামনে তুলে ধরেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা আবহে রাজ্য প্রশাসন কোনভাবেই প্রশাসনিক কাজকর্মে ছাড় দিতে রাজি নয়। বিশেষত সামনে যখন একুশের বিধানসভা নির্বাচন তখন আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগের ব্যাপারটি। আর তাই প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দাদের অভাব-অভিযোগ শুনতে স্থানীয় প্রশাসনকে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে খবর। আপাতত জানা গেছে জঙ্গলমহলের বাসিন্দাদের সমস্যার সমাধান যত শীঘ্র সম্ভব করা হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!