করোনা আবহে রাজ্য সরকারী কর্মীদের জন্য বড়সড় সুখবর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা রাজ্য July 2, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা বরাবরই রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা পেয়ে থাকেন নিখরচায়। রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা এবং সরকারী পেনশনভোগীরা রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে এবং কিছু নির্দিষ্ট বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গেলে নিখরচায় সুযোগ পান বলে জানা যায়। যদি সেক্ষেত্রে বাড়তি খরচ হয়, তাহলে তা প্রাথমিকভাবে গ্রাহক মিটিয়ে দেয়। পরবর্তীতে অর্থ দপ্তরে বিল পেশ করলে সরকারি সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় বলে জানা গেছে। কিন্তু বেশ কয়েক মাস ধরে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি মোটেই ভালো নয়। এই অবস্থায় রাজ্যের হাসপাতালগুলিও চূড়ান্ত ব্যস্ত এই মুহূর্তে। সুতরাং, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মেডিকেল বিল পেশ করতে গিয়ে বিশাল ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, এবার সরকারি নির্দেশে এই ভোগান্তি থেকে মিললো মুক্তি। জানা গিয়েছে, এতদিন পর্যন্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের তিন মাসের মধ্যে চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচের বিল জমা দিতে হতো সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। কিন্তু এবার চিকিৎসাসংক্রান্ত যাবতীয় বিল পেশের সময়সীমা তিন মাস থেকে ছয় মাস পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে ইতিমধ্যে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। সূত্রের খবর, করোনার মধ্যে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিল সই করাতে গিয়ে হাসপাতালে বিভিন্ন ঝামেলার মধ্যে পড়তে হয়েছে সরকারি কর্মীদের। অন্যদিকে আটই জুন পর্যন্ত লকডাউন এর কারণে বন্ধ ছিল ট্রেজারি অফিস। স্বাভাবিকভাবেই বিল জমা করা যাচ্ছিল না। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও ঠিক হয়েছে। আর সেই কারণে এবার মেডিকেল বিল পেশের সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারি উদ্যোগে। যথারীতি কর্মী মহলে এই নির্দেশের ফলে খুশির হাওয়া। কারণ মনে করা হচ্ছে, চিকিৎসা সংক্রান্ত বিল জমা করার সময়সীমা দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণে খরচের সম্পূর্ণ টাকা ফেরত পাওয়া যেতে পারে। তবে জানা যাচ্ছে, গন্ডগোল লাগছে অন্যত্র। বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে সরকারি স্বাস্থ্য প্রকল্প নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গেলে প্রাথমিক ভাবে করোনার টেস্ট করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল আবার এই কারণে রোগী ভর্তিও নিয়ে নিচ্ছে। যথারীতি বিল বাড়ছে। পকেটে পড়ছে চাপ। কিন্তু যেহেতু করোনা পরীক্ষা স্বাস্থ্য প্রকল্পের আওতায় নেই, সেহেতু আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগামী দিনে করোনা টেস্টের বিপুল খরচ সরকারি দপ্তর থেকে পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে। অন্যদিকে এই মুহূর্তে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। কিন্তু তার মধ্যেও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য যেভাবে রাজ্য সরকার একের পর এক সুবিধা এনে দিচ্ছে, তা কিন্তু যথেষ্ট প্রশংসনীয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে আগামী দিনে করোনা টেস্ট নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। কারণ এই মুহূর্তে রাজ্যের করোনা টেস্ট যথেষ্ট দামি বলেই জানা যায়। অন্যদিকে সর্বসাধারনের জন্য এই টেস্ট করতে গেলে খরচ যথারীতি বেঁধে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ইতিমধ্যে বিরোধীরা। আপাতত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মন পেলেও রাজ্যের অন্যান্য বাসিন্দাদের মন পেতে রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা গ্রহণ করে, সে দিকেই লক্ষ্য সবার। আপনার মতামত জানান -