এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনা আবহে সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে গৃহবধূদের জন্য খুলে গেছে নতুন ব্যবসার পথ! বাড়ছে ক্রেতা

করোনা আবহে সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে গৃহবধূদের জন্য খুলে গেছে নতুন ব্যবসার পথ! বাড়ছে ক্রেতা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা সংক্রমণ রুখতে গত মার্চ মাসের শেষ দিকে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। এখন যারা আনলক পর্ব চলছে।এই আনলক পর্বে দোকান, বাজারে, কমপ্লেক্স, শপিং মল সমস্তু কিছুই খুলে গেছে, বেশকিছু মানুষ রাস্তায় বেরও হচ্ছেন। কিন্তু দোকানের স্বাভাবিক বিকিকিনি এখনো শুরু হতে পারেনি। খুব প্রয়োজন না হলে সহজে মার্কেট মুখী হতে চান না অনেকেই। করোনা সংক্রমনের ভয় থেকেই দোকান, বাজার এড়িয়ে চলতে চান বহু মানুষ। করোনা পরিস্থিতির কারণে চলতি বছরের পহেলা বৈশাখের বাজার বসেনি, জমেনি ঈদের, কিংবা রথের বাজার।

পুজোর বাজারও যে জমবে সেই নিশ্চয়তাও নেই। এখনো ছুটির দিন রবিবার দোকান খুলে প্রায় মাছি তাড়াবার অবস্থা দোকানির। কারণ সংক্রমণের ভয়ে দোকানে ক্রেতাদের দেখা নেই।শিলিগুড়ির হিলকার্ট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সনৎ ভৌমিক বলেছেন, ” রোজ দোকান খুলছি, কিন্তু মার্কেট ফাঁকা। করোনা কোমর ভেঙে দিয়েছে।” এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান, পুজোর বাজার এবার হয়তো জমবে না। হয় নি পহেলা বৈশাখের বাজার। এসব কারণেই অনেক দোকানি এবার নতুন করে পণ্য আনেন নি।

শিলিগুড়ির বিধান রোডের গৌরীশঙ্কর মার্কেটের জনৈক হোলসেল বস্ত্র ব্যবসায়ী সৌমদীপ কুণ্ডু বলেছেন, মন্দার বাজারের কথা চিন্তা করেই এবারে দিল্লি, লুধিয়ানা থেকে কাপড় কেনেননি তিনি। ব্যবসার এই মন্দায় কি করে বছর চালাবেন তা নিয়ে তিনি সন্দিহান। মার্চ মাসের শেষদিকে দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হলে দুই মাসেরও বেশী তিনি দোকান দোকান বন্ধ রেখে ছিলেন। পহেলা বৈশাখের জন্য তিনি নতুন জামাকাপড় তুলেছিলেন। কিন্তু দোকান বন্ধ থাকায় বেচাকেনা হয়নি। পুজোর সময়ে বেচাকেনা হবে কিনা তারও নিশ্চয়তা নেই। এজন্য অধিকাংশ ব্যবসায়ী এবারে পুজোর জামা কাপড় তোলেন নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের ভরসা ই-কমার্স সংস্থাগুলি। এই ই-কমার্স ব্যবসায় আদাজল খেয়ে নেমেছেন গৃহবধূরা। ফেসবুকে একটি পেজ খুলে সেখানে প্রসাধনসামগ্রী থেকে আরম্ভ করে পোশাক পরিচ্ছদের বিজ্ঞাপন দিয়ে দারুণ ব্যবসা করেছন তাঁরা। এই ব্যবসায় তাঁদের কোন পুঁজির প্রয়োজন হচ্ছে না, কিন্তু পাচ্ছেন যথেষ্ট লাভ। যা দেখেই উৎসাহিত হচ্ছেন তারা এই ব্যবসায়। গৃহবধূরা এই ব্যবসায় প্রসাধনী সামগ্রী, পোশাক-পরিচ্ছদ, ও নানা দ্রব্য বিক্রি করে একে অপরকে রীতিমতো টেক্কা দিচ্ছেন। এই নতুন ব্যবসার নাম দেওয়া হয়েছে ‘রিসেল’।

শিলিগুড়ি হাকিম পাড়ার জনৈক গৃহবধূ পূর্ণিমা বক্সী জানালেন যে, তিনি রিসেল ব্যবসা করে যথেষ্ট স্বনির্ভর হয়েছেন। দৈনিক তিনি এখন থেকে ১০০০ – ১২০০ টাকার জামা, কাপড় বিক্রি করছেন। অধিক লাভ না হলেও এতে তার অর্থসংস্থান হচ্ছে।অন্যদিকে, নবগ্রামের গৃহবধূ সঙ্গীতা দেব জানালেন যে, তার বন্ধুদের এই ব্যবসা করতে দেখে, তিনিও সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন পেজ খুলে এই ব্যবসা শুরু করেছিলেন। ছোটদের পোশাক, ইমিটেশন, জুয়েলারি ইত্যাদি বিক্রি করে তিনি যথেষ্ট লাভ করছেন।

করোনা সংক্রমনের ভয়ে যখন অনেকেই বাজারমুখী হতে চাইছেন না। সেসময় ই-কমার্স সংস্থাগুলি ব্যবসার একটা বিরাট মাধ্যমে উঠেছে। গৃহবধূরা ফেসবুকে নিজের নামে পেজ বানিয়ে সেখানে জামাকাপড়, প্রসাধনী সামগ্রী থেকে শুরু করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, জ্যাম জেলি ইত্যাদি অসংখ্য দ্রব্য বিক্রি করছেন। এতে তাঁদের কোনো পুঁজির প্রয়োজন হচ্ছে না। পরিবর্তে বিক্রির টাকা কোম্পানিকে মিটিয়ে দিয়ে, সেখান থেকে খুব সহজেই তাদের ব্যাংক একাউন্টে জমা করতে পারছেন লভ্যাংশ। এই কারণেই হাসি চওড়া হয়েছে তাঁদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!