করোনা আবহে আমফানের তান্ডব! সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে আসরে নামলেন শুভেন্দু অধিকারী কলকাতা রাজ্য May 20, 2020 করোনা ভয়াবহতার মাঝেই এবার আমফানের দাপট শুরু হয়েছে বাংলায়। ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী জেলাগুলোকে এই ব্যাপারে বেশি সতর্ক থাকার কথা বলা হচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আইলা ঝড়ের থেকেও ভয়ঙ্কর হতে পারে এই আমফান। একদিকে করোনা সঙ্কট। তাই এই পরিস্থিতিতে ভয়াবহ দূর্যোগ যাকে মানুষকে খুব একটা বিপাকে ফেলতে না পারে, তার জন্য যতটা সম্ভব প্রশাসনিক তৎপরতা নিতে দেখা যাচ্ছে রাজ্য সরকারকে। বস্তুত, কমবেশি ছোট-বড় প্রায় প্রতিটি ঝড়েই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় মেদিনীপুর জেলাকে। তাই এবারেও উপকূলবর্তী এই জেলায় ভয়াবহ ঝড় হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এবার ময়দানে নেমে এই দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, কিভাবে নদীবাঁধ রক্ষা করা যাবে এবং কিভাবে ঝড়ের মোকাবিলা করা যাবে, তার জন্য ইতিমধ্যেই ব্লু প্রিন্ট তৈরির কাজে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে দীঘা পরিদর্শন করতে দেখা যায় রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীকে। উদয়পুর থেকে নয়াচর পর্যন্ত বিপর্যয় মোকাবিলা টিম তৈরি করে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেন তিনি। দীঘা, মন্দারমনি সহ বিভিন্ন জায়গায় এনডিআরএফ সিভিল ডিফেন্সের মত দু’শোর বেশি ভলেন্টিয়ার রাখা থেকে শুরু করে উপকূলবর্তী এলাকার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে আসা, সমস্ত ক্ষেত্রে নজরদারি রাখছেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী। পাশাপাশি ঝড়ের দুর্যোগে বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়ে গেলে তা যাতে রাতারাতি উদ্ধার করে ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তার জন্য প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের নির্দেশ দিচ্ছেন তিনি। এদিন এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জলসম্পদ ভবনে খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পাশাপাশি কাকদ্বীপ, দীঘা এবং বসিরহাটে কন্ট্রোল রুম তৈরি হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী দিঘায় সমুদ্রের জল তিন থেকে চার মিটার ফুলে উঠতে পারে। যা অত্যন্ত বিপদজনক। সরকার সবসময় মানুষের পাশে আছে। সমস্ত এলাকার মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবাই মিলে কাজ করছেন। সমুদ্র এখন ব্যাপক গর্জন করছে। সব রকম ভাবে তৈরি প্রশাসন।” তিনি আরও বলেন, “ঝড়ে গাছ পড়বে। ইলেকট্রিক খুঁটি পড়বে। সেগুলি তুলে নেওয়ার জন্য গাছ কাটার, সার্চলাইট এবং গ্যাস কাটার রেডি রয়েছে। সন্ধ্যে থেকে এগুলো দরকার হবে। প্রতিনিধিদের নিয়ে আমি নিজেও তৈরি আছি। ইরিগেশন থেকে ব্যাপক বন্দোবস্ত করা হয়েছে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্যোগে জনপ্রতিনিধিরা মানুষের পাশে থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুরের মত জেলায় প্রায় প্রতি মুহূর্তেই দুর্যোগে আশঙ্কায় থাকতে হয় সাধারণ মানুষকে। কিন্তু এবারের ভয়াবহ ঝড় যেহেতু সত্যিই বিপদজনক, তাই সেই ঝড়ের মোকাবিলা করতে রাতভর সর্বত্র নজরদারি রাখলেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সামনে থেকে যেভাবে তিনি এই ভয়াবহ বিপর্যয়কে রুখে দিতে আধিকারিকদের নিয়ে নজরদারি করছেন, তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে বলে জানাচ্ছেন প্রত্যেকে। এখন এত বাড়তি প্রস্তুতি রাখা সত্ত্বেও প্রাকৃতিক দুর্যোগকে কতটা আটকানো যায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -