এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > করোনা আবহেই বড়সড় সুখবর! জুলাই মাসে মমতার সরকার পেল অতিরিক্ত ৪০০ কোটি? কোথায়? কিভাবে জানুন!

করোনা আবহেই বড়সড় সুখবর! জুলাই মাসে মমতার সরকার পেল অতিরিক্ত ৪০০ কোটি? কোথায়? কিভাবে জানুন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা সংক্রমনের ফলে বিধ্বস্ত হয়েছে দেশের ও রাজ্যের অর্থনীতি। সরকারের স্বাভাবিকভাবে অর্থ উপার্জনের পথ গুলি অনেকটাই রুদ্ধ হয়ে গেছে। এই অবস্থার মধ্যে রাজ্যের বিধ্বস্ত অর্থনীতিকে পুনরায় সতেজ করতে একাধিক প্রচেষ্টা ও প্রকল্প গ্রহণ করতে দেখা গেছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে । রাজ্যের অর্থনীতিকে সচল রাখার জন্য তিনি যে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করেছিলেন বর্তমানে দেখা যাচ্ছে তার সুফল। দেখা যাচ্ছে রাজ্যের গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স বা জিএসটি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে। জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে এই বৃদ্ধির পরিমান প্রায় ৪০০ কোটি টাকা।

মাত্র এক মাসের মধ্যে এতটা জিএসটি বাড়িয়ে এক হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী এক নজির গড়লেন সারাদেশে। যে কাজ কেন্দ্র করে দেখাতে পারেনি সেটা করে দেখালেন তিনি। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছেন, করোনা বিপর্যয়ের সময়ে মুখ্যমন্ত্রী যে একাধিক আর্থিক সংস্কার রাজ্যে প্রবর্তন করেছিলেন, তার ফলেই এতটা সফল ও এতটা সচল হতে পেরেছে রাজ্যের অর্থনীতি। করোনা সংকট কালেও যে রাজ্যের অর্থনীতি কতটা বলিষ্ঠ তার জ্বলন্ত প্রমাণ জিএসটি থেকে এক ধাক্কায় এতটা আয় বৃদ্ধি।

অন্যদিকে দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতির কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের জিএসটি বাবদ প্রাপ্ত আয় গত বেশ কয়েক মাস ধরে বেশ নিম্নগামী। গত জুন মাসে কেন্দ্রের এই কিছুটা বেড়ে ৯০৯১৭ কোটি টাকা হয়েছিল। কিন্তু এর মাত্র এক মাসের মধ্যে আবার কমে গিয়ে হয়েছে ৮৭ ৪২২ কোটি টাকা। জিএসটি কাউন্সিলের পরিসংখ্যান মতে, জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে দেশে জিএসটিথেকে প্রাপ্ত যায় হ্রাস পেয়েছে প্রায় 3 শতাংশ। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেই নজিরবিহীন ভাবে জিএসটি থেকে আয় বৃদ্ধি করে নিল পশ্চিমবঙ্গ।যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি বিষয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজ্যের অর্থ দপ্তরের তরফ থেকে এই প্রসঙ্গে জানানো হয়েছে, ” চলতি আগস্ট মাসেও রাজস্ব আদায়ের এই গতি অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা যেতে পারে। ” রাজস্ব আদায়ের ব্যাপারে রাজ্যের এই আশা যে নিরাশা নয় তার প্রমাণ রাজ্যের একাধিক অর্থনৈতিক প্রকল্পগুলি। রাজ্যের নতুন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্র কে একাধিক কাজের সঙ্গে যুক্ত করে ১০০ দিনের কাজের পরিধি বৃদ্ধি করতে পেরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওর সঙ্গেই বেড়েছে বিভিন্ন উৎপাদন। আর উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেই বাড়বে চাহিদা, আর চাহিদা বৃদ্ধি পেলেই বাড়বে পণ্যের যোগান, অর্থনীতির এই মূল সূত্রটির মনে রেখেই, আনলক পর্বে একাধিক ইতিবাচক অর্থনৈতিক পদক্ষেপে তিনি দেখা গিয়েছে রাজ্য সরকারকে।

রাজ্যের অর্থ দপ্তরের জনৈক শীর্ষ আধিকারিক এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, চলতি বছরের গত জুন মাসে পশ্চিমবঙ্গ থেকে জিএসটি থেকে সংগৃহীত মোট অর্থের এসজিএসটি ও আইজিএসটির অংশ হিসেবে রাজ্য পেয়েছিল ১৬৩০ কোটি টাকা।এর মধ্যে এসজিএসটির মোট পরিমান ছিল ১১০০ কোটি টাকা। আর বাদবাকি ৫৩০ কোটি টাকা আইজিএসটি থেকে এসেছিল। এ প্রসঙ্গে তার অভিমত, ” গত জুলাই মাসে গোটা দেশের নিরিখে এই কর বাবদ বাংলার সংগ্রহ অত্যন্ত ইতিবাচক। এই সময়ে এসজিএসটি এবং আইজিএসটি বাবদ রাজ্যের হাতে এসেছে ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এর মধ্যে ১ হাজার ২০০ কোটির কিছু বেশি এসেছে এসজিএসটি খাতে। আইজিএসটি থেকে মিলেছে ৮০০ কোটি টাকা।”

অন্যদিকে, রাজ্যের জিএসটি বৃদ্ধি প্রসঙ্গে রাজ্যের অর্থ দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় রাজ্যে একাধিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ড চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাজস্ব আদায়ে রাজ্যে যথেষ্ট ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রসঙ্গত, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এসজিএসটি ও আইজিএসটি থেকে প্রতিমাসে ২১০০ থেকে ২৩০০ কোটি কোটি টাকা রাজ্যের কোষাগারে এসে থাকে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও অর্থনৈতিক সংস্কারের ফলে খুব দ্রুত রাজ্য এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে চলেছে বলে রাজ্য সরকার মনে করছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!