এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > করোনা আবহেও চুপিসারে দলবদল? ৭ বিধায়ক গুটিগুটি পায়ে নাম লেখাচ্ছেন বিজেপিতে? বাড়ছে জল্পনা

করোনা আবহেও চুপিসারে দলবদল? ৭ বিধায়ক গুটিগুটি পায়ে নাম লেখাচ্ছেন বিজেপিতে? বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এই মুহূর্তে জাতীয় রাজনীতিতে চলছে এক টান টান নাটক। কিছুদিন আগেই মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস শিবিরে লেগেছিল ভাঙ্গন। যথারীতি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া 22 বিধায়ক সহযোগে যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। এবং মধ্যপ্রদেশে কমলনাথ সরকারের পতন ঘটে। মুখ্যমন্ত্রীর আসন যায় শিবরাজ সিং চৌহানের হাতে। আর এবার নতুন প্রেক্ষাপট দেখা যাচ্ছে রাজস্থানের বুকে। তবে ঘটনা পরম্পরা কি একই দিকে মোড় নিচ্ছে? তা নিয়ে কৌতুহলী এই মুহূর্তে সবাই। তবে দুটি ঘটনায় মিল একটাই- কংগ্রেস শিবিরে বড়সড় ফাটল।

মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পেছনে মূল কারিগর হিসেবে মানা হয় জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বদলে ক্ষমতার হাতবদল হয় কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ কমলনাথের হাতে। যার ফলস্বরূপ মাধবরাও সিন্ধিয়া দল ছাড়েন এবং গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেন। অন্যদিকে উল্লেখযোগ্যভাবে এবার মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেসের ঘরে আরো একবার ভাঙ্গন লাগলো বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, এবার কংগ্রেসের প্রদ্যুম্ন সিং লোধি কংগ্রেসের হাত ছেড়ে যোগ দিলেন গেরুয়া শিবিরে।

সূত্রের খবর, মধ্যপ্রদেশের ছাতারপুর জেলার বড় মালহারা আসনটিতে দীর্ঘ কুড়ি বছর পর কংগ্রেস যেতে প্রদ্যুম্ন সিং লোধির হাত ধরে। কিন্তু ইতিহাস রচনা করলেও প্রদ্যুম্ন সিং লোধিকে ধরে রাখতে পারলনা কংগ্রেস। এদিন প্রদ্যুম্ন সিং লোধি যোগদান করেন বিজেপিতে এবং জানা গেছে  আরও 6 জন কংগ্রেস বিধায়ক দল ছাড়বেন অতি শীঘ্রই। ইতিমধ্যে প্রদ্যুম্ন সিং লোধি নিজের ইস্তফা পত্র জমা দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার স্পিকারের কাছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এরপর তিনি সোজা শিবরাজ সিং চৌহানের সঙ্গে দেখা করে বিজেপিতে যোগ দান করেন বলে খবর। তবে এই ঘটনার পেছনে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার ম্যাজিক দেখছেন অনেকেই। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশ মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ ঘটেছে এবং সেখানে দেখা যাচ্ছে, জ্যোতিরাদিত্য ঘনিষ্ঠদের রমরমা বেশি। এবং তার পরেই কংগ্রেস নেতা প্রদ্যুম্ন সিং লোধির দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, রাজস্থানেও কংগ্রেসের ঘর ছাড়তে এবার উদ্যোগী কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট।

একইভাবে শচীন পাইলট এর হাত ধরে রাজস্থানের ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস। কিন্তু ক্ষমতার হাতবদলে গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ অশোক গেহলটের হাতে রাজস্থানের মন্ত্রিসভার দায়িত্ব দেওয়া হয়। যেখান থেকে শচীন পাইলট এর সঙ্গে কংগ্রেস শিবিরের দূরত্ব এসে যায় বলে মনে করা হচ্ছে। তবে শচীন পাইলট দল ছাড়লেও তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন কিনা সে কথা এখনো স্পষ্ট নয়। শচীন পাইলটের সঙ্গে আরও বেশ কিছু তাঁর অনুগামী বিধায়করাও দল ছেড়েছেন বলে জানা গেছে।

তবে সূত্রের খবর, তাঁরা বিজেপিতে যেতে চাইছেননা। কিন্তু এরই মাঝে মধ্যপ্রদেশ মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ এবং দলবদল ঘিরে জল্পনা উঠেছে, তাহলে কি শচীন পাইলটকেই বার্তা দিতে চাইছে গেরুয়া শিবির! আপাতত জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস-বিজেপি নাটক যে জমে উঠেছে সে কথা একবাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তবে আগামী দিনে রাজস্থানের রাজনৈতিক আবহে মধ্যপ্রদেশের কাহিনী লেখা হয় কিনা, সেদিকে কড়া নজর রাখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!