এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনা আবহে বিধানসভার প্রচারে মুখ খুলে প্রথমবারেই বিরোধীদের ট্র্যাকের বাইরে ফেলে দিলেন মোদী?

করোনা আবহে বিধানসভার প্রচারে মুখ খুলে প্রথমবারেই বিরোধীদের ট্র্যাকের বাইরে ফেলে দিলেন মোদী?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিহার বিধানসভা নির্বাচনের উত্তাপ যখন চড়তে শুরু করেছিল, ঠিক তখনই সকলের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল, কবে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে নামবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী? যেখানে আরজেডির পক্ষ থেকে প্রচার করে শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেখানে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, বিরোধীদের সমস্ত কিছু ফিকে হয়ে যাবে।

শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদীর প্রচারে নামার অপেক্ষা। অবশেষে প্রচারে নামলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী।সূত্রের খবর, শুক্রবার বিহার বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে প্রথম নির্বাচনী সভা করলেন প্রধানমন্ত্রী। যেখানে বিহারের মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি প্রশ্ন করেন, “বিহারের মানুষকে আবার প্রস্তর যুগে ফেরত যেতে চান!” স্বাভাবিকভাবেই তার এই ধরনের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এবার ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

হঠাৎ করে প্রস্তর যুগ বলে কেন অভিহিত করলেন প্রধানমন্ত্রী? একাংশ বলছেন, তিনি প্রস্তর যুগ বলতে বিগত দিনে লালুপ্রসাদ যাদবের সরকারকে কটাক্ষ করে একথা বলেছেন। তাই বিরোধীরা যখন সভা-সমিতি করছে, তখন প্রধানমন্ত্রী প্রচারে নেমে জনতার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করে বুঝিয়ে দিলেন যে, বিগত দিনে লালুপ্রসাদ যাদবের যে সরকার ছিল, তারা বিহারকে শেষ করে দিয়েছে। তাই নীতীশ কুমারের সরকারকে যেন আবার সমর্থন করেন জনতা জনার্দন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তাই লালুপ্রসাদ যাদবের সরকারকে “প্রস্তর যুগের” সঙ্গে তুলনা করে কার্যত বিরোধীদের কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন এই জনসভায় বিহারের নীতীশ কুমারের সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী‌। তিনি বলেন, “নীতীশ কুমারের জন্য ইতিমধ্যেই মহামালীতে অনেকের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে। বিহার সরকার যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নিত, তাহলে অনেকে মারা যেতেন। নীতীশ কুমার ক্ষমতায় আসার আগে বিহারে ব্যাপক দুর্নীতি এবং অপরাধ হত। যারা একসময় বিহারকে শাসন করেছে, তারা ফের এই উন্নয়নশীল রাজ্যটি দখল করতে চায়। কিন্তু মানুষের ভোলা উচিত নয়, কাদের জন্য বিহার পশ্চাৎপদ রাজ্য হয়ে উঠেছিল।” অর্থাৎ লালুপ্রসাদ যাদব এবং তার পুত্রকে নাম না করে এদিনের সভা থেকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিন তেজস্বী যাদবের নাম না করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের অনেকে একটা ভুল ধারণা ছাড়াতে চাইছেন, রাজ্য নতুন শক্তির উদ্ভব ঘটেছে। কিন্তু সমীক্ষা বলছে, এনডিএ ক্ষমতায় ফিরছে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক কালে তেজস্বী যাদবের সভায় ব্যাপক জনসমাগম লক্ষ্য করা গিয়েছিল। যার ফলে চাপে পড়ে গিয়েছিল নীতীশ কুমার এবং ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে তাদের পক্ষ থেকে বিশ্বাস ছিল যেড় নরেন্দ্র মোদী প্রচারে নামলেই বিরোধীদের হাওয়া ফিকে হয়ে যাবে।

আর এবার প্রচারে নামার সঙ্গে সঙ্গেই নাম না করে বিরোধীদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। সব মিলিয়ে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রচারে নেমে কার্যত বিরোধীদের একহাত নিলেন নরেন্দ্র মোদী। আর নরেন্দ্র মোদির এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধীদের তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া আসে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!