এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা আবহে বিজয়ার শুভেচ্ছা নিয়ে বড়সড় পদক্ষেপ মমতার, নেতা-কর্মীরা এবার পাচ্ছেন না এই সুবিধা

করোনা আবহে বিজয়ার শুভেচ্ছা নিয়ে বড়সড় পদক্ষেপ মমতার, নেতা-কর্মীরা এবার পাচ্ছেন না এই সুবিধা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাসের কারণে উৎসবে অনেকটাই ভাটা পড়েছে। আর বিজয়ার পর প্রতিবছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে তৃণমূলের সমস্ত স্তরের জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে নেতাকর্মীদের ভিড় লেগে থাকলেও, এবার সেই বিজয়া উৎসব হচ্ছে না। ঘর থেকেই পরিবর্তন শুরু করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই কালীঘাটে তার বাসভবনের সামনে যাতে কেউ না আসেন, তার জন্য ইতিমধ্যেই তৃণমূল সমর্থক, কর্মী এবং শুভানুধ্যায়ীদের বারণ করে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সকলকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

যেখানে করোনা ভাইরাস যাতে দ্রুত বিলীন হয়ে যায়, তার জন্য প্রার্থনা করেছেন তিনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দূর্গা উৎসবের মধ্যে হাইকোর্টের রায় থাকলেও, বেশ কিছু জায়গায় মানুষের ঢল দেখা যাচ্ছে। যার ফলে দ্রুত করোনা ভাইরাস বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে তার বাড়ির সামনে যদি নেতাকর্মীদের ভিড় লেগে থাকে, তাহলে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। আর তাই করোনা ভাইরাসের সময় যাতে দূর থেকেই শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো যায়, তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এই পদক্ষেপ নিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কর্মী-সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীরা প্রতিবছর কালীঘাটে তৃণমূলের কেন্দ্রীয় ভবনে নেত্রীকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে আসেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জন্য এবার তা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বিজয়ার শুভেচ্ছা দূর থেকেই করুন।” অর্থাৎ কোনভাবেই যাতে কেউ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে না আসেন এবং তার ফলে যাতে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে না পারে, তার জন্য তৃণমূলের এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন যদি করুণা ভাইরাসের কারণে বৃদ্ধি পায় তাহলে রাজ্য সরকারের দিকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করবে যার ফলে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হতে পারে রাজ্য প্রশাসনকে। তাই একদিকে জমায়েত এড়িয়ে চলা এবং অন্যদিকে করোনা ভাইরাস বৃদ্ধি না পাওয়ার কৌশল হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন বলে দাবি একাংশের।

বস্তুত, করোনা ভাইরাসের সময় পুজোর ক’দিন শান্তি-শৃঙ্খলা স্থাপন করতে পুলিশ কর্মীদের রাস্তায় দেখা গেছে। সেদিক থেকে পুলিশকর্মীরা দিনভর পাহারা দিলেও, তাদের শরীরের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, তার জন্য প্রতি মুহূর্তে দফতরের কর্তাদের কাছ থেকে খোঁজখবর নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও কোন পূজোতে কেমন ভিড় হয়েছে, তার সমস্ত কিছু নিজের নজরে রেখেছিলেন তিনি। কেননা এবারে ভিড় সামলানো যেমন অন্যতম লক্ষ্য ছিল, ঠিক তেমনই সামাজিক দূরত্ব পালন করা টার্গেট হয়ে দাঁড়িয়েছিল সকলের কাছে।

বিশেষজ্ঞরা বারবার আশঙ্কা করছেন যে, শারদ উৎসব মিটে যাওয়ার সাথে সাথেই করোনা ভাইরাস রাজ্যে বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু তা যাতে আটকানো যায়, তার জন্য সমস্ত রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল। আর এবার নিজের ঘর থেকেই সামাজিক দূরত্ব পালন করে নেতাকর্মীদের বিজয়খর শুভেচ্ছা দূর থেকে জানানোর কথা বলে দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!