এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > করোনা আবহে জুটছে নামমাত্র বোনাস! চাঁদার নামে তাও কেটে নিচ্ছে তৃণমূলের দাদারা? বাড়ছে ক্ষোভ

করোনা আবহে জুটছে নামমাত্র বোনাস! চাঁদার নামে তাও কেটে নিচ্ছে তৃণমূলের দাদারা? বাড়ছে ক্ষোভ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাসের কারণে পুজোর বোনাসেও যথেষ্ট কাটছাঁট হয়েছে। তবে বাস মালিকরা কর্মচারীদের বোনাস কমিয়ে দিলেও, তা থেকে তৃণমূল প্রভাবিত সংগঠন টাকা কেটে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। যার ফলে শ্রমিক-কর্মচারীদের এই অভিযোগ শাসকদলের দিকে ওঠায় এখন ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে আরামবাগের 16/20 রুটের বাস কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। সকলেরই দাবি, সংগঠনের মাধ্যমে না দিয়ে সরাসরি বাস মালিকরা শ্রমিকদের হাতে যেন তাদের বোনাস তুলে দেন।

শ্রমিক-কর্মচারীদের অভিযোগ, লকডাউনের জেরে এমনিতেই তাদের সংসারে আর্থিক অনটন চলছে। গতবারের চেয়ে বোনাসের পরিমাণ অনেক কম। কিন্তু তা সত্ত্বেও কর্মচারী সংগঠন মাথাপিছু সদস্য ছাড়া বছরে 360 টাকা করে কেটে নিচ্ছে। যার ফলে প্রবল সমস্যায় পড়েছেন শ্রমিকরা। এদিন এই প্রসঙ্গে এক বাসকর্মী বলেন, “চালক 1000, কন্টাকটার 800 এবং হেল্পার 600 টাকা করে বোনাস পাচ্ছেন। তা থেকেও যদি 360 টাকা করে কেটে নেওয়া হয়, তবে তাদের হাতে কি থাকবে! আর এই সামান্য টাকায় কি হবে!”

সত্যিই তো তাই! যেখানে তাদের ঘরে নুর আনতে পান্তা ফুরোয়, সেখানে স্বল্প বোনাসের মধ্যেও কেন এভাবে তৃণমূল প্রভাবিত বাস কর্মচারী সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের বেতনে ভাগ বসানো হচ্ছে? এটা কি বেআইনি নয়? এদিন এই প্রসঙ্গে আরামবাগ মহকুমা বাস ড্রাইভার অ্যান্ড হেল্পার ওয়ার্কাস ইউনিয়নের সম্পাদক সফিকুল ইসলাম বলেন, “অন্য কোনো টাকা কাটছি না। সংগঠনের সদস্যদের মাসিক চাঁদা হিসেবে 30 টাকা করে কেটে নেওয়া হচ্ছে। এক বছরে চাঁদা বাকি থাকলে 360 টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের বিপদে আপদে পাশে থাকতেই করা হয়েছে। কর্মীদের মেয়ের বিয়ে হলে সংগঠন 6000 টাকা পায়। পরিবারের কোনো সদস্যের মৃত্যু হলে 3000 টাকা দেওয়া হয়। এমনকি অসুখ-বিসুখ এবং দুর্ঘটনা ঘটলেও সংগঠন সহায়তা করে। সেই কল্যাণমূলক কাজকর্ম যাতে চালু করা হয়, সেই লক্ষ্যে সংগঠনের তহবিল মজবুত করা প্রয়োজন।”

এদিকে এই ব্যাপারে ওই রুটের বাস মালিক সংগঠনের সভাপতি প্রবীর অধিকারী বলেন, “দীর্ঘদিন এই রীতি মেনে আমরা মাথাপিছু চারজন কর্মীর বোনাস তাদের সংগঠনের কাছে দিয়ে দিয়েছি। কবে, কোন কর্মী কোথায় ডিউটি করেছেন, তারাই সেই নথি রাখে। সংগঠন বোনাস কিভাবে বন্টন করেছে, আমাদের তা জানা নেই।” তবে গোটা ব্যাপার নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এবং তাদের সংগঠন যে অনেকটাই ব্যাকফুটে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যেভাবে শ্রমিকরা তাদের বোনাসের টাকায় কোপ মারার অভিযোগ তুললেন সংগঠনের বিরুদ্ধে, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস এর সমর্থনে যুক্তি দিলেও, তা যে ধোপে টিকবে না, তা কার্যত পরিষ্কার বিশেষজ্ঞদের কাছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!