করোনা আবহে কোন পথে বিধানসভা ভোটের প্রচার? নতুন আঙ্গিকে চিন্তাভাবনা শুরু রাজনৈতিক দলগুলির! রাজনীতি রাজ্য August 11, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাস সমস্ত কিছুকে বদলে দিয়েছে। মাঠে-ময়দানে প্রচার করার ইচ্ছে থাকলেও, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তার ব্যাপারে কোনরূপ প্রবণতা দেখা যাচ্ছে না। কেননা করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, অনেক জায়গাতেই তা গোষ্ঠী সংঘর্ষের আকার নিতে পারে। তাই এই পরিস্থিতিতে সামনে পশ্চিমবঙ্গের মত রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। ফলে রাজনৈতিক দলগুলো ময়দানে নেমে প্রচার করতে না পারলেও, ভার্চুয়াল সিস্টেমের মধ্যে দিয়ে তারা প্রচার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। কিন্তু যদি এভাবেই গোটা পরিস্থিতি চলতে থাকে এবং করোনা ভাইরাসকে সঙ্গী করে নিয়ে যদি ভবিষ্যতে পথ চলতে হয়, তাহলে কিভাবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো প্রচার করবে, পদ্ধতি কী হবে, তা নিয়ে এবার নানা আমলে তৈরি হয়েছে জল্পনা। জানা গেছে, বাংলায় পরিবর্তনের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই বিজেপি আইটি সেল তৎপরতা গ্রহণ করেছে। প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের পিছনে চারজন করে কর্মীদের দায়িত্ব দিয়ে পাল্টা প্রচার প্রক্রিয়ায় ঝাপাতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে আইটি সেল এই দুই রাজনৈতিক দলের কাছে প্রধান অস্ত্র বলে মনে করা হচ্ছে। ভার্চুয়াল প্রচারের মাধ্যমে এবার সাফল্য পাওয়া সম্ভব হবে। তবে এর পেছনে অনেক সমস্যা রয়েছে বলেও মনে করছেন একাংশ। কেননা সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে অনেকের সরগর হলেও, এখনও অনেক প্রবীণ মানুষের কাছে এই বিষয়টি পরিষ্কার নয়। ফলে তারা এতদিন মাঠে-ময়দানে রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রচার করতে নামতে দেখলেও এবার তা সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে যদি সীমাবদ্ধ থাকে, তাহলে সেই মানুষগুলোর কাছে রাজনৈতিক দলগুলো কিভাবে পৌছবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে যে সব চিন্তা-ভাবনা পরিকল্পনার প্রয়োজন রয়েছে, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মানুষের জন্য কাজ করাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা মাত্র 22 বছরের দল। তাই সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পদক্ষেপ করতে আমরা যথেষ্ট স্বচ্ছন্দ।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক রহুল সিনহা বলেন, “এখন থেকে বাংলার নির্বাচনের প্রচার নিয়ে গান গাওয়া অবান্তর। আগামী বছর কি পরিস্থিতি থাকবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়।” এদিকে ভার্চুয়াল সিস্টেমের মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যদি হয় তাহলে এখন থেকেই প্রস্তুতির ব্যাপারে সওয়াল করতে দেখা গেছে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যকে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যদি প্রচার প্রক্রিয়া করতে হয়, আগামী দিনে তাহলে সকলের ক্ষেত্রে এক নিয়ম করা উচিত বলে দাবি জানিয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তবে যদি সত্যি সত্যিই করোনা ভাইরাসের সংকট না মেটে এবং তার ফলে যদি রাজনৈতিক দলগুলোকে ভার্চুয়াল সিস্টেমের মাধ্যমে প্রচার প্রক্রিয়ায় ঝাঁপাতে হয়, তাহলে তা কেমন হবে? এদিন এই প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলেন, “বাস্তব পরিস্থিতিকে বিচার করে প্রচার নিয়ে কমিশনের নির্দেশিকা দেওয়া উচিত। সবাই যাতে মানেন, তা কমিশনকে সুনিশ্চিত করতে হবে।” সব মিলিয়ে এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, করোনা ভাইরাসকে নিয়েই যদি পথ চলতে হয়, তাহলে কিভাবে সামনের বিধানসভা নির্বাচনে রননীতি তৈরি করে নির্বাচন কমিশন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -