করোনা আবহে অবহেলিত থাকছে ত্বকের এই মারাত্মক অসুখ! বিশ্বজুড়েই ফল হতে পারে আরও মারাত্মক? অন্যান্য শরীর-স্বাস্থ্য August 18, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগস্ট মাস নিয়ে তো সবাই অনেক কিছুই জানি আমরা, যেমন এই মাসে আমাদের স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়। তেমনই অগাস্ট মাসে সারা বিশ্বে যে ‘ আন্তর্জাতিক সোরিয়াসিস মাস ‘ পালিত হয়, সেটা কজনে জানেন? আদৌ সোরিয়াসিস জিনিসটা কি সেটা সম্পর্কেই বা কতজনের ধারণা রয়েছে। সোরিয়াসিস হলো এক ধরনের ত্বকের অসুখ। যা ব্রণ বা পিগমেন্টেশনের মত কোনো অসুখ নয়। তবে তার থেকেও কিছুটা বেশি গুরুতর। সোরিয়াসিস রোগ:- ডাক্তারদের কথায়, আমাদের ত্বকের দুটি স্তর থাকে, একটি বাইরের স্তর অন্যটি ভেতরে স্তর। বাইরের স্তরের যে মৃত কোষগুলি সেগুলি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনা হতেই পড়ে যায় এবং ভিতরে স্তরের সজীব কোষ গুলি উপরে উঠে আসে। এই প্রক্রিয়া একটি চক্রাকারে এবং সারা দেহেই ঘটতে থাকে। এই প্রক্রিয়াটিতে সময় লাগে ২৮ দিন। কিন্তু তিন চার দিনের মাথায় এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। তবে যখন এই প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি হয়, তখন ত্বকের যে সমস্যার কথা উঠে আসে, তাকেই সোরিয়াসিস বলা হয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - উপসর্গ:- উপসর্গ হিসেবে শরীরের নানা জায়গায় চুলকানি, ব্যথা এগুলি অনুভূত হয়। তবে সাধারণত শরীরের বুকে পিঠে হাতে এবং বিভিন্ন অংশে লালচে গুড়ি গুড়ি দানার মতো জিনিস এর উৎপত্তি হয়। সেই থেকেই শুরু হয় চুলকানি। ত্বকের টেক্সচার অনেকটা মাছের আঁশের মতো হয়ে যায় এবং খোসা ওঠার মতো চামড়া গুলি থেকে উঠে আসতে থাকে। কেবল মাত্র ত্বকে নয় মাথার চুলের গোড়ায় এবং নখের মধ্যেও এই সমস্যা দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে চুলপড়া এমনকি নখ খসে যাওয়ার মতো উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়। কারণ:- এই রোগের কারণ হিসাবে অত্যন্ত মানসিক চাপ, অত্যধিক রোদে থাকা, স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া, মদ্যপান এগুলি বলা হয়। তবে যাদের ডায়াবেটিস আছে, হাইপার টেনশন আছে, কোলেস্টেরল, হার্টের অসুখ আছে তাদের ক্ষেত্রে এই রোগের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। তাছাড়া যেসমস্ত মানুষের ত্বক শুষ্ক হয়, তাদের ক্ষেত্রে ঠিক সময়ে যত্ন না নিলে এই রোগ হতে পারে। অনেকে ডাক্তারের কাছে গিয়ে চিকিৎসা না করে নিজের মত ওষুধ খেতে থাকেন। এক্ষেত্রে ফল হিতে বিপরীত হতে পারে এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসকদের মতে ভয় না পেয়ে বা দেরি না করে, উপসর্গের প্রথম পর্যায়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে এই রোগ থেকে মুক্তি লাভ সম্ভব। তাই করোনা আবহে যাদের ডায়াবেটিস, হাইপার টেনশন, হাই ব্লাড প্রেসার এর মতো সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে করোনার ঝুঁকি যেমন রয়েছে, তেমনি ঝুঁকি রয়েছে সোরিয়াসিস নামের এই মারাত্মক অসুখে আক্রান্ত হওয়ার। গবেষণা হিসেবে বিশ্বের সমস্ত মানুষের মধ্যে ২ থেকে ৩ শতাংশ রোগী এই ত্বকের সমস্যায় ভোগেন। তাই আপনার পরিবারের কারোর বা আপনার যদি এই ধরনের কোন উপসর্গ থেকে থাকে তবে দেরি না করে আগে থেকেই সতর্ক হোন। আপনার মতামত জানান -