এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > ৫ দিন ধরে পড়ে মৃতদেহ, এখনও এলো না রিপোর্ট! করোনা কাটায় আতঙ্ক বাড়ছে বাংলার বুকে!

৫ দিন ধরে পড়ে মৃতদেহ, এখনও এলো না রিপোর্ট! করোনা কাটায় আতঙ্ক বাড়ছে বাংলার বুকে!


যত দিন যাচ্ছে, ততই বাড়ছে বাংলায় করোনা ভাইরাসের দাপট। তবে প্রথম থেকেই রাজ্য সরকার করোনা মোকাবিলায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও, বিরোধীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, এই করোনায় আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে করোনায় অনেকের মৃত্যু হলেও, সঠিক তথ্য দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। আর এবার বাংলায় পাঁচদিন ধরে মৃতদেহ পড়ে থাকা সত্ত্বেও রিপোর্ট না আসায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল।

জানা গেছে, গত 6 মে থেকে জ্বর হয়েছিল এক বৃদ্ধার। 9 তারিখ তার গলায় ব্যথা এবং বমি শুরু হয়। যার পরে নিজের সেই বৃদ্ধা মাকে নিয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়েছিলেন নিজধন বাউরিয়া। এদিকে করোনা ভাইরাসের মুহূর্তে সেই বৃদ্ধার মধ্যে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তাঁর করোনা ভাইরাস হতে পারে বলে সন্দেহ হয় চিকিৎসকদের। আর এরপরই চিকিৎসকরা সেই বৃদ্ধাকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই সেই বৃদ্ধা শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে পারে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এরপরই হাসপাতালে পৌঁছানোর সাথে সাথেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে এই বৃদ্ধার গত 9 তারিখে মৃত্যু হলেও, এখনও পর্যন্ত তার মৃত্যুর কারণের কোনো রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসেনি। যার ফলে তৈরি হয়েছে ধন্দ। আর বর্ধমানের সালানপুরের এই ঘটনায় এখন কার্যত তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। কেন মৃতদেহের 5 দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কোনো রিপোর্ট এল না? জানা গেছে, বর্তমানে সেই বৃদ্ধার দেহ হাসপাতালের মর্গে পড়ে রয়েছে।

চিকিৎসকদের অনেকে বলছেন, এই বৃদ্ধা যদি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন, তাহলে পরিবার বা হাসপাতাল তার সংস্পর্শে আসা বিপদের। এমনকি মর্গে উপযুক্ত নিয়মে করোনা মৃত হিসেবে সেই দেহ সংরক্ষণ করা হয়নি। ফলে সেখান থেকেও সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। সত্যিই তো তাই, যেখানে করোনা রোগ নিয়ে সকলের চিন্তায় রয়েছেন, সেখানে কেন এই রকম অবস্থায় যদি ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সত্যিই এই বৃদ্ধার করোনার কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে উঠে আসে, তাহলে তো পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে যেতে পারে।

কেননা করোনা মৃতদেহকে যেভাবে রাখা দরকার, সেভাবে বৃদ্ধার মৃতদেহ রাখা হয়নি। ফলে তা যে অন্য কারও শরীরে সংক্রমণ ঘটাবে না, সেই ব্যাপারে নিশ্চয়তা কোথায়? সব মিলিয়ে এখন দীর্ঘ পাঁচ দিন ধরে বৃদ্ধার মৃতদেহ পড়ে থাকায় রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠছে, ঠিক তেমনই করোনা সংকটকালে কেন রিপোর্ট দিতে এত দেরি হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বিশেষজ্ঞদের মনে। এখন এই প্রশ্নের উত্তর কবে পাওয়া যায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!