এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা আবহে রাজ্যের সংখ্যালঘু এলাকায় নিঃশব্দে নিজের সংগঠন বাড়াচ্ছে AIMIM, লক্ষ্য যুব ভোট

করোনা আবহে রাজ্যের সংখ্যালঘু এলাকায় নিঃশব্দে নিজের সংগঠন বাড়াচ্ছে AIMIM, লক্ষ্য যুব ভোট


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেকদিন ধরেই রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ রয়েছে সর্বত্র। তবে পঞ্চম দফার লকডাউন কিছুটা শিথিল হতেই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস থেকে শুরু করে বিরোধী দল বিজেপি ময়দানে নামতে শুরু করেছে। ভার্চুয়াল কর্মসূচিতে সবথেকে বেশি জোর দিয়ে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের জন্য একে অপরের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি নিচ্ছে, সরব হচ্ছে। আর এই অবস্থায় গুটিগুটি পায়ে রাজ্যে নিজেদের বসতি শক্ত করতে শুরু করেছে এআইএমআইএম।

জানা গেছে, হায়দ্রাবাদের আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল অনেকদিন ধরেই বাংলাকে টার্গেট করে রেখেছে। আর এবার করোনা আবহের মধ্যে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলা বলে পরিচিত মুর্শিদাবাদে ঘর গোছাতে শুরু করেছে সংগঠন। যা নিঃসন্দেহে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে রাজ্যের শাসক থেকে বিরোধী দলের কাছে বলে মনে করছে একাংশ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি মাসের 12 এবং 13 তারিখে জঙ্গিপুরের একটি মাঠে সভা করে এই সংগঠন। তারপর সেভাবে তাদের আর মাথাচাড়া দিতে দেখা যায়নি। প্রকাশ্য সভায় খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই সংগঠনের নাম না করে সকলকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। আর এবার ধীরে ধীরে এই এআইএমআইএম মুর্শিদাবাদের মত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলায় সংখ্যালঘুদের ভোট ব্যাংক নিজেদের দখলে রাখতে সক্রিয় হতে শুরু করেছে বলে খবর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, কিছু মাস আগে তারা বহরমপুরে একটি সভা করার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু পুলিশের চাপে শেষ পর্যন্ত সেই সভা করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। তবে কিছুদিন আগে আবার তাদের প্রকাশ্যে আন্দোলন করতে দেখা যায়। যার ফলে মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য বাড়ছে। মূলত অল্প বয়সী যুবক যুবতীদের টার্গেট করেই এই সংগঠন মাথা তোলার চেষ্টা করছে বলে খবর। অর্থাৎ একদিকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটব্যাঙ্ক যেমন নিজেদের দিকে নিয়ে আসা এই সংগঠনের লক্ষ্য, ঠিক তেমনই যুবকদের প্রভাবিত করে নিজেদের দিকে নিয়ে আসতে উদ্যোগী হয়েছে তারা।

এদিন এই প্রসঙ্গে পুলিশ আধিকারিক বলেন, “সাংগঠনিক তহবিল মজুদ করতে অনেকেই এই সংগঠনকে অর্থের জোগান দিচ্ছে। সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। বিতর্কিত এই সংগঠনে যুবকের সংখ্যাই বেশি। অল্প বয়সীদের প্রভাবিত করতে সংগঠনের নেতারা বিভিন্ন রাজ্যের ঘটনা তুলে ধরে মগজ ধোলাই করে চলেছেন। প্রত্যন্ত এলাকায় বৈঠক করে তারা নিজেদের সংগঠন এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিভিন্নভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথমদিকে এই সংগঠন রাজ্যে প্রবেশ করতেই প্রশাসনের তরফে শোরগোল পড়ে যায়। তাদের আটকানোর জন্য উদ্যোগী হয় প্রশাসন। কিন্তু এবার সেই সংগঠনের পক্ষ থেকে যেভাবে করোনা আবহের মধ্যে যুব সংগঠনকে টার্গেট করে প্রচার চালানো হচ্ছে, তাদের চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের অলিন্দে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই সংগঠনকে রুখতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় কিনা, তার দিকে নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!