করোনা আক্রান্ত হাসপাতালের অব্যবস্থা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই রোগীদের মোবাইল কারলেন সুপার রাজ্য হাওড়া-হুগলি August 11, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা প্রারম্ভের শুরু থেকেই সরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগের বন্যা বইতে শুরু করে। এর আগেও সরকারি হাসপাতালের দুরবস্থা নিয়ে একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপর থেকে সাময়িক কিছুটা উন্নতি হলেও বর্তমানে যে আবার সেই দুরাবস্থা ফিরে এসেছে সরকারি হাসপাতালে সে কথা প্রকাশ্যে এসেছে করোনা রোগী জনৈক মৌমিতা ঘোষের মোবাইলে রেকর্ড করা একটি ভিডিওর মাধ্যমে। হাওড়া টি এল জয়সওয়াল হাসপাতালের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন মৌমিতা ঘোষ নামক একজন করোনা রোগী। সম্প্রতি মৌমিতা একটি ভিডিও করেন হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন। যেখানে মৌমিতা জানিয়েছেন, জয়সওয়াল হাসপাতালে চিকিৎসা তো দূর অস্ত, ব্লাডপ্রেসারটাও মাপা হয়না সময়মতো। ঠিকভাবে রোগীদের খাওয়া-দাওয়াও দেওয়া হচ্ছেনা। পাতে পড়ছে পচা ডিম। শুধু তাই নয়, হাসপাতালের বাথরুমও ব্যবহারযোগ্য নয়। বারবার বলা সত্ত্বেও হাসপাতালে কেউ তাঁর কথায় কর্ণপাত করছে না। অগত্যা তিনি একটি ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। আর তারপরেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। এই ভিডিওটি চোখে পড়ে মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লার। রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হাজির হন হাওড়ার ওই হাসপাতালে। যদিও তিনি মৌমিতা ঘোষের ওয়ার্ডে যাননি বলে খবর। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে হাসপাতালের সমস্ত কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়, যাতে রোগীদের সঠিক খেয়াল রাখা হয়। অন্যদিকে মৌমিতা জানিয়েছে, তাঁর পোস্ট ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পরেই তাঁর কাছে অজানা নাম্বার থেকে একটি ফোন আসে এবং তাঁকে বলা হয় পোস্টটি ডিলিট করার জন্য। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যদিও মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর দপ্তর থেকে কোনোরকম ফোন করা হয়নি। তবে তদন্তে দেখা যাচ্ছে, ওই নাম্বারটি জয়সওয়াল হাসপাতালের এক চিকিৎসকের। যদিও ওই চিকিৎসক আবার পাল্টা জানিয়েছেন, এ ধরনের কোনো ফোন তিনি করেননি। কেন্দ্রীয় সরকার প্রথম থেকেই ঘোষণা করে আসছেন করোনা আক্রান্তরা হাসপাতালে মোবাইল নিয়ে থাকতে পারবেন। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় মৌমিতার পোস্ট ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর চাপে পড়েছে হাওড়ার টি এল জয়সওয়াল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ওপর যেভাবে প্রশাসনিক চাপ বাড়ছে, সেদিকে নজর দিয়ে এদিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সমস্ত রোগীর মোবাইল ফোন জমা নিয়ে নিয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও হাসপাতাল সুপার সুখেন্দু বিশ্বাস জানিয়েছেন, “হাসপাতালে মোবাইল ফোনের অনুমতি নেই। ওঁর ঠিক চিকিৎসাই হচ্ছে। উনি মিথ্যা বলছেন।” তবে জানা গেছে, মৌমিতা নিজের মোবাইল জমা করেননি। উপরন্তু তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে নির্দেশের লিখিত প্রমাণ দেখতে চেয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ এমনিতেই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে জীবন অতিবাহিত করে। তার মধ্যে হাসপাতালগুলি যদি এরকম অমানবিক হয়ে পড়ে তা রীতিমত গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হওয়া উচিত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বরাবরই সরকারি হাসপাতালে সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে গর্ব সহকারে জানিয়ে আসছেন। কিন্তু টি এল জয়সওয়াল হাসপাতালে কাণ্ডকারখানা সামনে আসার পর মুখ্যমন্ত্রীর গর্বিত দাবি যে ভালোই ধাক্কা খাবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত সব মহল। তবে মৌমিতার সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন সবাই। আপনার মতামত জানান -