প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাস সাধারণ মানুষকে ছাপিয়ে এখন রাজ্যের হেভিওয়েট ব্যক্তিদের শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী সুজিত বসু থেকে শুরু করে বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ, নির্মল ঘোষের মতো ব্যক্তিরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আর এবার সেই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা তথা হাওড়া পুরো নিগমের বিদায়ী বোর্ডের মেয়র পারিষদ গৌতম চৌধুরী। যার জেরে এখন তীব্র গুঞ্জন শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরমহলে।

তৃণমূল কর্মীদের কাছে গৌতমবাবুর এই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যাওয়া বড়ই চিন্তার কারন। জানা গেছে, দুদিন আগেই তৃণমূলের পার্টি অফিসে এসেছিলেন এই গৌতম চৌধুরী। ফলে সেদিক থেকে তৃণমূলের যে সমস্ত কর্মী এবং নেতৃত্বরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন, তারা এখন সংক্রমণের আশঙ্কায় দিন গুনতে শুরু করেছেন। অন্যদিকে এই গৌতম চৌধুরী 11 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। ইতিমধ্যেই তিনি যে বহুতলে থাকতেন, সেটি স্যানিটাইজ করা হয়েছে। এছাড়াও যার যার সংস্পর্শে তিনি এসেছিলেন, তাদের সকলকেই কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তর।

শুধু তাই নয়, শেষ কবে গৌতমবাবু হাওড়া কর্পোরেশন এসেছিলেন, তাও এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেননা একজনের শরীর থেকে যদি হু হু করে সংক্রমণ অন্যজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে, তাহলে আর পরিস্থিতিকে আটকানো যাবে না। তাই যাদের যাদের সংস্পর্শে এই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা এসেছিলেন, এখন তাদেরকে কোয়ারেন্টাইন করার উদ্যোগ নিচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তর।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা ভাইরাস নামটা শুনতে ছোট হলেও, যেভাবে তা দাপট শুরু করেছে, তা সত্যিই চিন্তার বিষয়। হয়ত মানুষ সুস্থ হচ্ছেন, কিন্তু আক্রমণের সংখ্যাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। ফলে এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী, বিধায়করা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এবার হাওড়া পৌরসভার তৃণমূলের প্রাক্তন মেয়র পারিষদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা হাওড়াতে আরও আশঙ্কা তৈরি করল। কেননা এমনিতেই হাওড়া বর্তমানে রেডজোনে রয়েছে। সেদিক থেকে এই হেভিওয়েট ব্যক্তির শরীরে তা বাসা বাধায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।