এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > করোনা আক্রান্ত তৃণমূল সংসদের নিরাপত্তারক্ষী, সপরিবারে হোম কোয়রান্টিনে সাংসদ, জোর জল্পনা

করোনা আক্রান্ত তৃণমূল সংসদের নিরাপত্তারক্ষী, সপরিবারে হোম কোয়রান্টিনে সাংসদ, জোর জল্পনা


পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এই মুহূর্তে মোটেও আশাব্যঞ্জক নয়। প্রায় প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে রাজ্যে। ইতিমধ্যে দুই হাজার ছাড়িয়ে গেছে পশ্চিমবঙ্গের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি যে চরম আকার ধারণ করছে দিনদিন তা নিয়ে নিঃসন্দেহ বিশেষজ্ঞরাও। অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতি এতটা মারাত্মক হবার কারণ হেতু রাজ্য সরকারকে দায়ী করছে বিরোধী দলগুলি। আর এরই মাঝে এবার তৃণমূলের আরেক সাংসদ পরিবারসহ হোম মর্নিং কোয়ারেন্টাইনে গেলেন নিজেই।

এর আগে তৃণমূলের দমকল মন্ত্রীও করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। সূত্রের খবর, বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীর করোনা হওয়ার কারণে এবার হোম কোয়ারেন্টাইনে গেলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গেছে, তাঁর বাড়িতে যে নিরাপত্তারক্ষী কাজ করেন, তিনি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট থেকে আসেন। বর্তমানে নিরাপত্তারক্ষীর লালা রস পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে সে করোনা পজিটিভ। এরপর তাঁকে বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার বাড়ির অন্যান্যদের লালা রসের নমুনা পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রথম দফায় অবশ্য সন্দেহ করা হয়েছিল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। পরে সাংসদ এই ভুল ভেঙে সঠিক তথ্য দেন সাংবাদিকদের। অন্যদিকে সরকারি সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট সহ কালীঘাটের বেশ কয়েকটি জায়গায় পরপর করোনাসংক্রমণ হয়ে চলেছে। প্রসঙ্গত এই এলাকাটি অতি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা বলেই পরিচিত।

অন্যদিকে রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু আগেই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন করোনা সন্দেহে। উপরন্তু সুজিত বসু ডায়াবেটিক পেশেন্ট বলে তাঁর ওপর চিকিৎসকদের বিশেষ নজর রয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে সম্প্রতি তিনি চিকিৎসকদের জানিয়েছেন, তাঁর শ্বাসকষ্টের কথা। এই মুহূর্তে সুজিত বসুর যথাযথ চিকিৎসা চলছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বরাবরই করোনা সংক্রমণকে দূরে রাখার জন্য সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার কথা বলা হয়েছে চিকিৎসক ও গবেষকদের পক্ষ থেকে।

কোন কোন ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের মতন রাজনৈতিক নেতারাও এই নির্দেশ মানেননি। একটা সময় স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনার বিধিনিষেধ মানছেন না বলে দাবী করতে থাকে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। বর্তমানে করোনার প্রকোপ এতটাই বেড়ে গেছে যে তার ফল পেতে হচ্ছে হাতেনাতে। অন্যদিকে করোনা নিয়ে বরাবরই বিরোধীরা সোচ্চার হয়েছিল, এবার রাজ্যের মন্ত্রী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সাধারণ মানুষের আতঙ্ক যে আরও বাড়বে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!