এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > করোনা আক্রান্ত হলেই নাকি মিলবে ২ লক্ষ টাকা! গুজবে প্রাণ ওষ্ঠাগত বাংলার প্রশাসনিক কর্তাদের!

করোনা আক্রান্ত হলেই নাকি মিলবে ২ লক্ষ টাকা! গুজবে প্রাণ ওষ্ঠাগত বাংলার প্রশাসনিক কর্তাদের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ৬মাস কেটে গেছে করোনার সঙ্গে ঘর করতে করতে। তবুও মানুষের মন থেকে এই করোনা নিয়ে গুজব ছড়ানোর প্রথা দুর করা গেলো না। সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা সেই কথাকেই মনে করিয়ে দিচ্ছে। যার জেরে নাভিশ্বাস ছুটেছে প্রশাসনিক কর্তাদের। সম্প্রতি সরকারি ভাবে দু লক্ষ টাকা দেওয়া হলেও সাধারণ মানুষ কেনো সেই টাকা পাচ্ছে না সেই নিয়ে বেশ উত্তেজনা ছড়িয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

ঘটনাস্থল রঘুনাথপুর। কিছুদিন থেকে সেখানে করোনা নিয়ে শোনা যাচ্ছে গুজব। করোনায় আক্রান্ত হলেই নাকি সরকার থেকে দু’ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। অথচ জেলাস্তরের আধিকারিকরা সেই টাকা দিচ্ছেন না। এমনই ভুয়ো খবরে সম্প্রতি উত্তেজনা ছড়ায় রঘুনাথপুর মহকুমা এলাকায়। জানা গেছে, ওই এলাকারই বিভিন্ন মানুষ ওই গুজব ছড়াচ্ছে। তবে এই পরিস্থিতি সামলাতে কার্যত ঘুম ছুটেছে প্রশাসনের কর্তাদের। পরে যদিও জেলা প্রশাসনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় যে, করোনা নিয়ে টাকা দেওয়ার কোনও প্রশ্নই উঠছে না কোনোভাবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যেহেতু রঘুনাথপুর মহকুমা এলাকায় এখনও আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক কম রয়েছে, তাই আপৎকালীন সুরক্ষার্থে এগিয়ে এসেছে স্থানীয় প্রশাসন। তাই তারাই আপৎকালীন ব্যবস্থার জন্য রাখা কিছু অর্থ থেকে আক্রান্ত পরিবারগুলিকে সাহায্য করছেন। এছাড়া প্রশাসনের তরফ থেকে করোনা আক্রান্ত পরিবারগুলির খবরও নেওয়া হচ্ছে, যা অন্যান্য জেলায় হয়ত নেই। আর সেই নিয়েই রটানো হচ্ছে গুজব। সচেতনতা মুলক প্রচারে তাই সাধারণের উদেশ্যে বলা হয়, সরকার সবসময় আক্রান্ত পরিবারের পাশে রয়েছে। কিন্তু, টাকা দেওয়া বা কোনও কিছু দিয়ে সাহায্য করার কোনও আলাদা ব্যবস্থা এখনও নেই। তাই ভুয়ো খবরে কান দেবেন না।

আসলে ব্যাপার হল, রাজ্যের অন্যান্য জেলার মত পুরুলিয়া জেলাতেও করোনা টেস্টের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ফলে প্রায় প্রতি গ্রাম থেকেই কমবেশি আক্রান্তের হদিশ পাওয়া যাচ্ছে। সেই সঙ্গে কন্টেইনমেন্ট জোনে থাকা কোনও পরিবারের সদস্য যাতে খাবার ও অন্যান্য সমস্যায় না পড়েন তা দেখার দায়ভার নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। আর তাই পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের তরফে চাল, ডাল সহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী আক্রান্তদের পরিবারকে সাহায্য করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এর সঙ্গে হতে হাত মিলিয়ে কাজ করছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তবে এরই মধ্যে অভিযোগ, কিছু মানুষ উত্তেজনা ছড়ানোর জন্য দু’ লক্ষ টাকার গুজব ছড়াচ্ছে। এমনকী এনিয়ে বেশ কয়েকটি গ্রামে পুলিশ প্রশাসনকে বিক্ষোভের মুখেও পড়তে হচ্ছে। গ্রামবাসীরা দাবি করছেন সরকার থেকে প্রশাসনকে দু’লক্ষ টাকা করে দেওয়া হলেও প্রশাসন করোনায় আক্রান্ত পরিবারগুলির ঠিকমতো দেখভাল করছে না কেন? আর সেই নিয়েই উত্তেজনা তৈরী হয়েছে। তবে যে বা যারা এই ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!