প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনাভাইরাস থেকে ধীরে ধীরে মুক্ত হচ্ছে ভারত তথা বাংলা বলে যখন আশা প্রকাশ করা হচ্ছে, ঠিক তখনই রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আক্রান্ত হলেন করোনা ভাইরাসে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি অসুস্থ বোধ করায় করোনা টেস্ট করান রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী। আর তখনই তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। আর এরপরই বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

আর তৃণমূলের শীর্ষনেতা তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় এখন তীব্র আশঙ্কা তৈরি হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে। একাংশ বলছেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে সচেতনতা এবং সামাজিক দূরত্ব পালনের কথা বলা হলেও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ময়দানে নেমে সব সময় নানা কর্মযজ্ঞে সামিল ছিলেন। স্বভাবতই মানুষের সংস্পর্শে এসে তার এই করোনা ভাইরাস হয়েছে কিনা, তা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়াতে শুরু করেছে।

তবে হেভিওয়েট মন্ত্রীর সংস্পর্শে কারা কারা এসেছিলেন, তা নিয়ে এখন আতঙ্ক ক্রমশ বাড়তে দেখা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই এই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন তৃণমূলের বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ থেকে শুরু করে সমরেশ বসু। ভয়াবহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু।

কিন্তু সুজিতবাবু এখন সম্পূর্ণরূপে সুস্থ। আর এরই মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সেই ভয়াবহ মারন ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। দ্রুত যাতে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন, তাঁর জন্য নানা মহলে প্রার্থনা শুরু হয়েছে। সোশ্যাল সাইটে তার অনুগামীরা পোস্ট করতে শুরু করেছেন, “দাদা, আবার আপনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুন। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।”

এখন সুজিত বসুর মতই খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক করোনা ভাইরাসকে পরাজিত করে কবে সুস্থ এবং স্বাভাবিক হন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, সকলকে আরও একটু বেশী সচেতন হওয়া প্রয়োজন।

করোনা ভাইরাস কিছুটা শিথিলতা পালন করলেও, তা যে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হওয়া থেকে বিরত থাকবে, এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। তাই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মত হেভিওয়েট মন্ত্রী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এখন আশা-আশঙ্কার দোলাচল তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে।