এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু তৃণমূল বিধায়কের, শোকের ছায়া শাসক শিবিরে!

করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু তৃণমূল বিধায়কের, শোকের ছায়া শাসক শিবিরে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণ দাবানলের মত বাড়ছে। যা থেকে রেহাই মিলছে না কারোরই । পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক ভাবে থাবা বিস্তার করেছে করোনা। শাসক দল তৃণমূলের একাধিক নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। করোণা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ফলতার তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ, পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার তৃণমূল বিধায়ক সমরেশ দাশ। সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক গুরুপদ মেটে।

বিধায়ক গুরুপদ মেটে কয়েক দিন ধরেই জ্বর ও নানা ব্যথায় আক্রান্ত ছিলেন। করোনা সন্দেহে তাঁর লালারস পরীক্ষা করানো হয়েছিল। রিপোর্ট পসিটিভ এলে গত ২২ সেপ্টেম্বর তাঁকে ওন্দা কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু তাঁর অবস্থা ক্রমাগত খারাপ হতে থাকলে তাকে স্থানান্তর করা হয় হাওড়ার একটি বেসরকারি কোভিড হাসপাতালে। বাঁকুড়ার স্বাস্থ্য-জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সরেন এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, বিধায়ক গুরুপদ মেটের শ্বাসকষ্ট সহ একাধিক করোনার উপসর্গ থাকায় ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে স্থানান্তর করা বেসরকারি হাসপাতালে।

সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর তাঁকে হাওড়ার বেসরকারি কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর অবস্থার ক্রমশ অবনতি ঘটছিল। কিছুদিন ধরেই ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর।মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। তাঁর মৃত্যু প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী ও সেইসঙ্গে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরা জানিয়েছেন, ” বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাওড়ার একটি বেসরকারি কোভিড হাসপাতালে গুরুপদবাবুর মৃত্যু হয়। দলের অপূরণীয় ক্ষতি হল।’’

বিধায়ক গুরুপদ বাবুর মৃত্যুসংবাদে হাজরাপাড়ায় তাঁর বাড়ির সামনে উপস্থিত হন দলের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন সাধারণ মানুষ। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। বিধায়কের ভাই তারাপদ মেটে জানান, ” পরিবারের কাকে, কী ভাবে সামলাব ভেবে পাচ্ছি না।’’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান যে, বিধায়কের পরিবারের তাঁর স্ত্রী রুনু মেটে ছাড়াও ১৬বছরের এক পুত্র ও ৪ বছরের এক কন্যা আছে। গুরুপদ বাবুর স্ত্রী রুনু দেবীও সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি রয়েছেন ইন্দাসের সেফহাউসে। গতকাল রাতে গুরুপদ বাবুর মৃতদেহ আনতে হাওড়া রওনা দিয়েছিলেন তারাপদ বাবু।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তৃণমূল দলে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন গুরুপদ বাবু। ২০১১, ২০১৬ সালে তিনি পরপর দুবার ইন্দাস এর বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। সম্প্রতি তাঁকে তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলার মুখপাত্র ও আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। গুরুপদ বাবুর মৃত্যুতে ব্লক তৃণমূল সভাপতি শেখ হামিদ জানালেন যে, ‘‘তৃণমূলের প্রায় জন্মলগ্ন থেকে রাজনীতি করা গুরুপদবাবু আদ্যন্ত সৎ ও পরোপকারী বলে পরিচিত ছিলেন। ২০১১ সাল থেকে টানা দু’বার তিনি ইন্দাসের বিধায়ক।”

গুরুপদ বাবুর মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করতে দেখা গেল শাসকদল সহ বিরোধী দলের একাধিক নেতৃত্বকে। তাঁর মৃত্যুতে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের মেন্টর অরূপ চক্রবর্তী জানালেন, ” তৃণমূল সততা নিয়ে চলে। প্রথমবার বিধায়ক হওয়ার পরে, গুরুপদবাবু কয়েকমাস ভাতা পাননি। কলকাতায় থাকার খরচ তুলতে নিজের দু’টি গরু বিক্রি করেছিলেন। আমি সাহায্য করলেও ভাতা পেয়ে তা ফেরত দেন। এক জন আদর্শবান নেতাকে হারালাম।’’

গুরুপদ বাবুর মৃত্যুতে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্র জানালেন, ‘‘ দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল নেতাদের ভিড়ে গুরুপদবাবু ব্যতিক্রম ছিলেন।’’ বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ তাঁর মৃত্যুতে বক্তব্য রাখলেন, ” সাদাসিধে প্রকৃতির গুরুপদদার এই চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছি না।’’

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!