এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনা আক্রান্তদের হোম আইসোলেশনে রাখার পরিকাঠামোই নেই রাজ্যে? তাই কি লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু?

করোনা আক্রান্তদের হোম আইসোলেশনে রাখার পরিকাঠামোই নেই রাজ্যে? তাই কি লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- যত দিন যাচ্ছে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তরতরিয়ে, আর সেকারণেই পরিকাঠামোবিহীন হোম আইসোলেশনকে দায়ী করা হচ্ছে বলেই জানা গেছে। বস্তুত করোনা সংক্রমনের পর রাজ্যজুড়ে হাসপাতালগুলিতে গিয়ে যাতে মানুষ ভিড় না করে, তাই অল্প উপসর্গ সম্পন্ন রোগীদের ক্ষেত্রে বাড়িতে থেকেই চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তবে সেক্ষেত্রে সচেতনতার অভাবে পরিকাঠামোবিহীন হোম আইসোলেশনে কলকাতা এবং আশপাশের অঞ্চলগুলিতে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার বেড়ে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত দু’সপ্তাহে যে সমস্ত রোগী করোনায় মারা গেছে তাদের ৩০ শতাংশই হোম আইসোলেশন ছিলেন এবং যখন তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তখন তাদের পরিস্থিতি সংকটজনক হয়ে ওঠে। আর সেই কারণেই হোম আইসোলেশনে হয়ে থাকা রোগীদের ক্ষেত্রে স্থানীয় জেনারেল ফিজিশিয়ানদের পরামর্শ বাধ্যতামূলক করছে রাজ্য সরকার। এ বিষয়ে পুরসভার বিরোধীদলের সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের বৈঠক হওয়ার কথা আছে বলেও জানা গেছে।

বস্তুত করোনা আক্রান্তদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার কমাতে পুরসভা হাসপাতাল এবং স্থানীয় জেনারেল ফিজিশিয়ানদের একটি ত্রিভুজ তৈরি করে আগামী ৭ই নভেম্বরের মধ্যে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য হিসাবে রোগীর মৃত্যুর হার বাড়ার পেছনে রয়েছে বেশিরভাগ মানুষের করোনা পরীক্ষা না করা। এছাড়া অনেক মানুষের অবহেলা, সচেতনতার অভাব রয়েছে বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেইসঙ্গে, অনেকেই দেহে অক্সিজেনের পরিমাণ ঠিকমত কাজ করছে কিনা, তা লক্ষ্য করেছেন না। এক্ষেত্রে করোনার লক্ষণ দেখা গেলেও তাকে সাধারণ জ্বর সর্দি কাশির সঙ্গে তুলনা করে অনেকে নিজেরাই সেই মতো ওষুধ খাচ্ছেন। অন্যদিকে বাড়িতে কেউ করোনা আক্রান্ত হয়ে থাকলে তার প্রেসক্রিপশন দেখেও অনেক ক্ষেত্রে ওষুধ খাচ্ছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

আর এক্ষেত্রে যাদের হাই ব্লাড প্রেসার, সুগার বা কিডনি জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে অনেকেই সমস্যায় পড়ছেন বলে জানা যাচ্ছে এবং শেষ মুহূর্তে হাসপাতালে পৌঁছানোর পর তাদের ফুসফুসের অবস্থান আরও খারাপ হয়ে পড়ছে। ফলে সেই জায়গা ফিরিয়ে আনার কোন জায়গা থাকছে না বলেও জানা গেছে। সেইসঙ্গে ভেন্টিলেশনে দিলেও সে ক্ষেত্রে মৃত্যু অবধারিত।

এক্ষেত্রে কলকাতায় থাকা রোগীদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া হলেও জেলায় অধিকাংশই এই নিয়ম পালন করা হচ্ছে না বলেই জানা গেছে। অন্যদিকে আইএএম রাজ্য শাখার সম্পাদক সাংসদ শান্তনু সেনের নেতৃত্বে গঠিত একটি দল স্বাস্থ্য ভবনে গিয়ে স্বাস্থ্য সচিবকে জেলাভিত্তিক জেনারেল ফিজিশিয়ানদের একটি তালিকা তুলে ধরা হয়েছে বলেও জানা যায়। সেই সঙ্গে করোনা আক্রান্ত সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরেও কেন সেই রোগীর মৃত্যু হচ্ছে সেই নিয়েও আজ হাসপাতালে সুপার এবং ডিএমদের সঙ্গে স্বাস্থ্য সচিবের বৈঠক আছে বলেও জানা যায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনা নিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, দশমীর দিন রাজ্যে কোভিডের অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ছিল ৩৭,১৯০জন। একাদশীতে সেই সং‌খ‌্যা ১৮ জন কমলেও অ‌্যাক্টিভ কেসের ৭৫ শতাংশের বেশি হোম আইসোলেশনে রয়েছে বলেই জানা যায়। ১২ই অক্টোবর অ্যাকটিভ ছিল ৩০,৬০৪ জন। যাদের মধ্যে হোম আইসোলেশনে ছিলেন ২২, ৩৬৬ জন। দশমীর দিন হোম আইসোলেশনে ছিলেন ২৪,৩৩৯ জন। আর এখানেই সমস্যা লুকিয়ে রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!