এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শুধু করোনা-আমপানেই শান্তি নেই! বাংলার কপালে এবার বন্যার ভ্রুকুটি! বাড়ছে দুশ্চিন্তা

শুধু করোনা-আমপানেই শান্তি নেই! বাংলার কপালে এবার বন্যার ভ্রুকুটি! বাড়ছে দুশ্চিন্তা


একের পর এক ভয়াবহ পরিস্থিতির কারণে রাজ্যের পরিস্থিতি রীতিমতো সংকটজনক। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির হাল এখনও আশঙ্কাজনক। তার মধ্যেই নতুন করে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রভাবে পরিস্থিতি আরও সঙ্গীন হয়ে উঠেছে রাজ্যে। দুশ্চিন্তা থামতে পারছে না, তার আগেই নতুন করে আরেক প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ জুড়ে শুরু হয়েছে অবিরাম বৃষ্টিপাত। যার ফলে রীতিমত বন্যার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সেখানে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

সূত্রের খবর, যেভাবে অবিরাম বৃষ্টি হয়ে চলেছে উত্তরবঙ্গে তাতে দীর্ঘ নয় বছর পর সবং এবং কিছু অংশে বন্যা পরিস্থিতির আশংকা দেখা দিচ্ছে। উত্তরবঙ্গের পরিচিত নদী কেলেঘাই এবং কপালেশ্বরী ইতিমধ্যেই জলে ভরে উঠেছে। অন্যদিকে এলাকাবাসীরা বন্যার আশঙ্কায় রীতিমতো আতঙ্কিত। তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য মানস ভুঁইয়া ইতিমধ্যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সবং এর বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে।

অন্যদিকে মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র পিংলায় বন্যা আশংকা করেছেন‌। অন্যদিকে, জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রমাপ্রসাদ গিরি এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশে সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা সমস্ত কিছু পর্যবেক্ষণ করছেন। দীর্ঘকাল ধরে সবং এলাকা বন্যা কবলিত হতো। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসার পর কেলেঘাই এবং কপালেশ্বরী নদী সংস্কার করেন। তার ফলে দীর্ঘকাল পরে সেখানকার মানুষ বন্যার হাত থেকে মুক্তি পান। ফলে গত 9 বছর ধরে সবং এর মানুষকে বন্যার মুখোমুখি হতে হয়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে যেভাবে একের পর এক কালবৈশাখী এবং অতিবর্ষণ হয়ে চলেছে সেখানে, দেখা যাচ্ছে এবার সবংয়ে তৈরি হচ্ছে বন্যার আশঙ্কা। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায় জানা গেছে, বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত যে হারে বৃষ্টি হয়েছে তাতে ইতিমধ্যেই এলাকার নিচু জায়গা গুলি জলের তলায় চলে গেছে। তবে পাম্পের সাহায্যে নিচু এলাকা থেকে জল বার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এলাকার বাসিন্দারা বন্যার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বলে জানা যাচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে মানস ভুঁইয়া এদিন জানিয়েছেন, বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল এগারোটা পর্যন্ত 137 মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে সবং, পিংলায়। ফলে কেলেঘাই, কপালেশ্বরী, চণ্ডীয়া ও বাঘাই নদীসহ এলাকার সবকটি খাল রীতিমতন জলে ভর্তি হয়ে গেছে। আরও যদি বৃষ্টি হয় তাহলে অবশ্যই পরিস্থিতি চূড়ান্ত খারাপের দিকে যাবে। মানস বাবু আরো জানিয়েছেন, তিনি জেলাশাসককে পুরো পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন। তার সাথে সেচ দপ্তরকে বাঁধ পর্যবেক্ষণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এমনিতেই অত্যধিক ঝড় বৃষ্টির ফলে চাষাবাদে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবার। কিন্তু নতুন করে আবার যেভাবে অতিবৃষ্টি শুরু হয়েছে, তাতে এবারের মতন চাষাবাদ নষ্ট হয়ে যেতে চলেছে। অতিবৃষ্টির কারণে জমিতে জল দাঁড়িয়ে আছে ফলে আমন ধানের বীজতলা ফেলতে পারছেন না কৃষকরা। অন্যদিকে নতুন করে বৃষ্টির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেচ দপ্তরের সবাইকে সতর্কবার্তা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণ মানুষ এমনিতেই করোনা আতঙ্কে জর্জরিত। তারমধ‍্যে সদ্য সমাপ্ত আমফান ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়ে রীতিমতন বেহাল দশার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। নতুন করে যেভাবে অতিবৃষ্টি শুরু হয়েছে তাতে সাধারণ পরিবারের মানুষদের এবার আরো দুর্দশার সম্মুখীন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত আর যেন নতুন করে কোন দুর্দশার সৃষ্টি না হয় তার জন্যই কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা চালিয়ে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!