করোনা-আমপান অবহেও ‘সোনার বাংলার’ লক্ষ্যে বড়সড় কর্মসূচী বিজেপির! তীব্র কটাক্ষ শাসকদলের কলকাতা রাজ্য June 22, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা, লকডাউনের ফলে যেমন অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতি হয়েছে সমগ্র দেশ তথা রাজ্যের। তেমনই রাজনৈতিক মহলে ইন্ধন যোগানোর মতো রসদও রয়েছে এই সময়কালে। পরিযায়ী সমস্যা থেকে চাকরি। এরই মধ্যে আসরে এসে উপস্থিত হয়েছিল সুপার সাইক্লোন আমফান। করোনা এবং আমফান, এই দুইয়ের ফলে বাস্তবিক বেকায়দায় পড়েছিল পশ্চিমবঙ্গ। পরিস্থিতি সরজমিনে দেখতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নিজে অকুস্থলগুলি ঘুরে দেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যের পক্ষ থেকে এই কঠিন পরিস্থিতিতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ার কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু রাজনীতি বড় বালাই। উপরন্তু সামনে যখন নির্বাচন। ২০২১ নির্বাচনে রাজ্যে লড়াই মূলত রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল এবং বিরোধী দল বিজেপি-র মধ্যে। তাই এসবের মধ্যে যে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি চলবে না, সেটা না ভাবাই বোধহয় মস্ত ভুল। কিছু অগ্রিম বাদে কোনও কেন্দ্রীয় ত্রাণ প্যাকেজ আসেনি বলে অভিযোগ রাজ্যের একাংশের। বরং কেন্দ্রের পক্ষ থেকে স্রেফ প্রতিশ্রুতি মিলেছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। যদিও আমফান দুর্গত বাংলায় প্রধানমন্ত্রীর এই সমস্ত উদ্যোগই এখন হাতিয়ার বঙ্গ বিজেপি-র। রাজ্যবাসীকে বাংলা ভাষায় চিঠিও লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তা নিয়ে বিপর্যয়ের মধ্যেও রাজনীতিতে নেমে পড়েছেন দিলীপ ঘোষরা। আরও স্পষ্টভাবে বললে আসল লক্ষ্য ‘২১-এর ভোটপ্রচার। ‘রাজ্যের অতীত গৌরব ফেরাতে হবে’—এমনই দাবি তুলে সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মতামত নিতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি। চাওয়া হবে অর্থনীতি, শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিল্প সহ হরেক পরিসরে উন্নতির সুলুক সন্ধান। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের দাবি, অনলাইন বৈঠকের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। জানা গিয়েছে, রাজ্যের বাছাই করা শিক্ষক-অধ্যাপক, শিল্পী, আইনজীবী, চিকিৎসক, ক্রীড়াবিদ, আমলাদের রাখা হয়েছে এই কর্মসূচিতে। আরএসএস, ভিএইচপি সহ একাধিক সহযোগী সংগঠনও এতে অংশ নিচ্ছে। দলের অপর এক রাজ্য কমিটির সদস্য বলেন, “এটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। প্রাথমিকভাবে এই মতামত গ্রহণ শুরু হয়েছে। পরবর্তী সময়ে দলের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।” এমনকী ২০২১ সালের আগে প্রধানমন্ত্রী থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও এই পরিকল্পনাতে শামিল হবেন বলে দাবি তাঁর। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর চিঠির প্রতিলিপি রাজ্যের ৭০ লক্ষ পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। চিঠিতে ছ’বছরের শাসনকালের উন্নয়নের ফিরিস্তির পাশাপাশি করোনার বিরুদ্ধে চিকিৎসকদের লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। ১ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের দেখা নেই, অথচ উম-পুনে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যবাসীর প্রতি সহমর্মিতা ব্যক্ত করেছেন তিনি। এই চিঠি বর্তমান পরিস্থিতিতে ভোট প্রচারে বাড়তি মাত্রা যোগ করবে বলেই মনে করছে বিজেপি নেতারা। আপনার মতামত জানান -