এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনা ভয়াবহতার মাঝেই ব্যাঙ্কিং পরিষেবা চালু, বাড়ছে আশঙ্কা!

করোনা ভয়াবহতার মাঝেই ব্যাঙ্কিং পরিষেবা চালু, বাড়ছে আশঙ্কা!

মানুষ যাতে মানুষের সংস্পর্শে না আসে এবং সামাজিক দূরত্ব যাতে বজায় থাকে, তার জন্য করোনাকে আটকাতে দেশে লকডাউনের কথা জানানো হয়েছিল। টানা 21 দিনের লকডাউন এখনও শেষ হয়নি। বরঞ্চ যত দিন যাচ্ছে, ততই বেগতিক হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। আর এমতাবস্তায় লকডাউনের সময় অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা চালু থাকার কথা বলা হলেও, তার একটি নির্দিষ্ট সময়ে করা হয়েছিল, যাতে সেখানে বেশি জমায়েত না হয়।

কিন্তু এবার সোমবার থেকে পুরোদমে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা চালু করার কথা ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। আর ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পুরোমাত্রায় চালু হওয়ায় ব্যাংকগুলোতে চরম ভিড় হতে পারে আর তারপরে করোনার প্রভাব আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন একাংশ। কেননা ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী গরিব করলেন যোজনার আওতায় জনধন একাউন্টে 500 টাকা করে প্রদানের কথা জানানো হয়েছে। ফলে এই সমস্ত টাকা নেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষ ব্যাংকগুলোতে ভিড় করবেন। যার ফলে জমায়েত কমা তো দূর অস্ত, উল্টে বেশি জমায়েত হওয়ার ফলে পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে অল ইন্ডিয়া ব্যাংক অফিসার্স কনফিগারেশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সম্পাদক সঞ্জয় দাস বলেন, “এতদিন পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে একটি গ্রামে পরিষেবা চালু ছিল এবং গ্রামীণ শাখাগুলোতে একদিন অন্তর পরিষেবা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু আজ থেকে স্বাভাবিক পরিষেবা চালু করতে নির্দেশ এসেছে। সেই নির্দেশে আমরা রীতিমত শংকিত। কারণ আমাদের ধারণা নোট বাতিলের পরবর্তী পর্বে যা হয়েছিল, যেভাবে ব্যাংকের সেই পরিস্থিতি চালু হতে চলেছে। 35 কোটি মানুষের জনধন অ্যাকাউন্ট আছে। তারা যদি ব্যাংকে টাকা তুলতে আসেন, তাহলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। আমরা অর্থাৎ ব্যাংক অফিসার এবং কর্মীরা শঙ্কিত। সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে আমাদের আশঙ্কা।”

এদিকে এই ব্যাপারে অল ইন্ডিয়া ব্যাংক এমপ্লয়ীজ অ্যাসোসিয়েশনের সর্বভারতীয় সভাপতি রাজেন নাগর বলেন, “আমরা করোনার প্রকোপের গোড়া থেকেই ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দিয়ে আসছি। ভবিষ্যতেও চালিয়ে যাব। তার কয়েকটি দাবি আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রেখেছি। যেখানে কর্মীদের আসা-যাওয়া, ভিড় সামাল দেওয়া, স্যানিটাইজার দেওয়া ইত্যাদি। কেন্দ্রীয় সরকার এমার্জেন্সি কাজে যুক্ত কর্মীদের জন্য যে 50 লক্ষ টাকার বিমা ঘোষণা করেছে, তার আওতায় ব্যাংক কর্মীদের আনার জন্য দাবি জানানো হয়েছে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবার মত ব্যাংকের কর্মীরা অত্যন্ত সংকটজনক ভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। আজ থেকে যেভাবে পুরোদমে ব্যাংক চালানোর কথা বলেছে কেন্দ্র, তাতে ব্যাংকে প্রবল ভিড় হতে পারে। আর সেই ভিড়ে সংক্রমণ যদি আবার বেড়ে যায়, তাহলে কিভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে, তা নিয়ে চিন্তা থেকেই যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!