করোনার প্রকোপ এসে পড়লো এবার সংবাদমাধ্যমেও, বড় বড় সংবাদপত্রে শুরু কর্মী ছাঁটাই , বাড়ছে আতঙ্ক! কলকাতা রাজ্য May 18, 2020 বিশ্বের বহু দেশের সঙ্গে সঙ্গে ভারতেও করোনার পা পড়েছে তাও বহুদিন হলো। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই দেশের ভয়ঙ্কর অবস্থা আরো তীব্রতর হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে করোনা পরিস্থিতি এড়াতে দেশজুড়ে চতুর্থ দফার লকডাউন শুরু হয়েছে। লকডাউনের শুরু থেকেই দেশের মানুষের রুজি রোজগারে পড়ছে টান। জানা যাচ্ছে, দেশের বহু সংস্থাই ইতিমধ্যে ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এতদিন পর্যন্ত দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলি যে ভয়ে দিন কাটাতো, ঠিক একই ভয় এখন কর্পোরেট জগতের সুট টাই পরা কর্মীরাও পেতে শুরু করেছে। অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সঙ্গে এবার মিডিয়া বা সংবাদমাধ্যম থেকেও শুরু হলো ছাঁটাই প্রক্রিয়া। সূত্রের খবর, এই মুহুর্তে ভারতের প্রথম সারির একাধিক সংবাদমাধ্যমে ছাঁটাই চলছে। কোথাও কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে কর্মীদের বেতন। ভারতবর্ষের অন্যান্য রাজ্যের মতন পশ্চিমবঙ্গেও এবার সংবাদমাধ্যমে ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু করল টাইমস গ্রুপ বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি টাইমস গ্রুপের বাংলা দৈনিকে এই সময় এর কর্মীদের উল্লেখযোগ্যভাবে বেতন কমেছে। সূত্রের খবর, এরপর 14 ই মে এই সময় পত্রিকা কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে তাঁদের সংস্থার বিভিন্ন কর্মীদের কাছে ফোন যায় এবং ইস্তফা দিতে বলা হয়। ঠিক একইভাবে ইকোনমিক টাইমসের কয়েকজন কর্মীর কাছেও ফোন যায় এবং ইস্তফা দিতে বলা হয়। তবে জানা গিয়েছে ওই কর্মীদের অধিকাংশ ইতিমধ্যে ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত এর আগে এই সময়ের কর্মীদের প্রায় প্রত্যেকেরই বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বেশ কয়েক শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়। এবার তার সঙ্গে শুরু হলো ইস্তফা দেওয়ার প্রক্রিয়া। সংবাদ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা গেছে, টাইমস গ্রুপের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান শিবকুমার সুন্দর একটি ই-মেইল এর মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, আপাতত বর্তমান পরিস্থিতি কাটিয়ে সংস্হাকে আবার ছন্দে ফিরিয়ে আনতে স্বল্পমেয়াদী কিছু কড়া পদক্ষেপ নিতেই হবে। সেই সূত্রেই গত দুই সপ্তাহের মধ্যে কলকাতা,চন্ডীগড় এবং কোচিতে ইকনোমিক টাইমস অফিসের কর্মী ছাঁটাই শুরু হয়। জানা গিয়েছে, এই কর্মী ছাঁটাই পর্ব চলে এডিটোরিয়াল এবং এইচআর বিভাগের কর্তাদের উপস্থিতিতেই। একই সঙ্গে যাঁরা ইকোনমিক টাইমসে বাংলা টাইমস অফ ইন্ডিয়ার জন্য কাজ করতেন, তাঁদেরকেও ছেঁটে ফেলা হয়েছে বলে জানা গেছে। ঠিক একই ভাবে এবার বাংলা সংবাদপত্র এই সময়ে ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই টাইমস গ্রুপ এর কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে অতি পরিচিত বাংলা দৈনিক এই সময়ের কর্মীমহলের কয়েকজনকে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মত, যেভাবে পরিস্থিতি সামলাতে সংবাদমাধ্যমের ওপরেও নেমে এলো ছাঁটাইয়ের কুঠারাঘাত তা সত্যিই দুঃখজনক। অন্যদিকে খুব স্বাভাবিকভাবেই ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের মধ্যে এতদিন পর্যন্ত বেতনক্রম বা অন্য সুযোগ সুবিধা কমিয়ে দেওয়াতে কিছুটা ক্ষোভ ছিলই। কিন্তু একেবারে ইস্তফা দিতে বলায় পুঞ্জীভূত ক্ষোভ এবার ধীরে ধীরে আগ্নেয়গিরিতে রূপান্তরিত হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত এই নিয়ে ইস্তফা প্রদানকারীদের মধ্যে থেকে কেউ কোনো কথা বলেননি। তবে এই ছাঁটাই প্রক্রিয়া কতদিন চলবে তা নিয়েও নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। আপনার মতামত জানান -