অন্যান্য দেশে যখন করোনা ভাইরাস চরম আকার ধারণ করেছিল, তখনই ভারত আগাম পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। যেহেতু এই ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি, সেহেতু এই ভাইরাসকে মোকাবিলা করতে তড়িঘড়ি লকডাউনের কথা ঘোষণা করে ভারতবর্ষের বিজেপি সরকার। প্রতিটি রাজ্যের পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও পরিস্থিতি আয়ত্তে রাখা সম্ভব হয়নি। যত দিন যাচ্ছে, ততই সেই করোনা ভাইরাসের উপদ্রব আছে ভারতবর্ষ জুড়ে। প্রথম পর্যায়, দ্বিতীয় পর্যায়ের পর তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউন চলছে গোটা দেশে।

তবে বর্তমানে কিছুটা হলেও করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ভারতবর্ষে কমে আসায় গ্রীন গুলোতে লকডাউনের ক্ষেত্রে কিছুটা শিথীল রুপ দেওয়া হয়েছে। আর এমত পরিস্থিতিতে খুব শীঘ্রই ভারতবর্ষ করোনা সংক্রমনের দিক থেকে চীনকে ছুঁয়ে ফেলবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। জানা গেছে, শনিবার পর্যন্ত গোটা দেশজুড়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 59 হাজার 662।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত নভেম্বর মাসের দিকে চিনে এই করোনা ভাইরাস দেখা দেয়। আর এরপরই জানুয়ারিতে চীন লকডাউন ঘোষণা করে দেয়। কিন্তু লকডাউনের অনেক সময়েও চীনে প্রতিদিন করোনা ভাইরাসে 1000 থেকে 3000 জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যেত। সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে চীনে এই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা রীতিমতো আশঙ্কা ছড়িয়ে দিয়েছিল গোটা বিশ্বে। যার ফলস্বরুপ বিভিন্ন দেশ লকডাউনকে বেছে নিয়েছিল। ভারতবর্ষও তার ব্যতিক্রম ছিল না।

কিন্তু বর্তমানে ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে কিছুটা শিথিলতা দেখা দেওয়ায় এবং করোনা ভাইরাস ধীরে ধীরে বিলুপ্তির পথে এগোবে বলে ধরে নেওয়া হয়। তবে এই সমস্ত আশায় জল ঢেলে দিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেভাবে ভারতবর্ষ করোনা ভাইরাসে আক্রমণের দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে খুব তাড়াতাড়ি চীনের সংক্রমণকেও তারা ছুঁয়ে ফেলবে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এখন বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা যাতে বাস্তবে রূপায়িত না হয়, তার জন্য সরকার ঠিক কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং কিভাবে ভারতবর্ষকে করমুক্ত বলে ঘোষণা করা যায়, তার দিকেই নজর রয়েছে গোটা দেশবাসীর।